জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে জাতীয়তাবাদ‌ী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

সোমবার (১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ শিক্ষক লাউঞ্জে এক ইফতার মাহফিলে ঢাবির নয়জন আহত শিক্ষার্থী ও দুই শহীদ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুস সালাম, অধ্যাপক মো.

আবুল কালাম সরকার, কলা অনুষ‌দের ডিন অধ‌্যাপক মোহাম্মদ ছি‌দ্দিকুর রহমান খান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, ঢাবি প্রক্টর মো. সাইফুদ্দিন, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ। 

আরো পড়ুন:

নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ না করার দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাই অভ্যুত্থানে ‘সহিংসতায় জড়িত’ ১২৮ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

আর্থিক সহায়তা পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সুমন মিয়া, দর্শন বিভাগের স্বপন মিয়া, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সাব্বির আহমেদ ও মুবাশিরুজ্জান হাসান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মো. মনসুর রহমান ও আশিকুর রহমান, ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালরানেবিলিটি স্টাডিজের (আইডিএমভিএস) ইশরাত জাহান ইমু এবং রসায়ন বিভাগের মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. আরিফুল ইসলাম।

এছাড়াও গণঅভ্যুত্থানে শহীদ কামাল মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা এবং শহীদ মো. সাইফুল ইসলামের মা মোসাম্মদ হায়াতুন নেসাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। 

এ বিষয়ে সাদা দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ব‌বিদ‌্যালয় সাদা দল সাম‌নে থে‌কে নেতৃত্ব দি‌য়ে‌ছে। ‌সেই সময় ছাত্রদের পা‌শে সাদা দল ছি‌লে, এখনো আছে। ভ‌বিষ‌্যতেও ছাত্রদের যেকোনো সহ‌যো‌গিতায় সাদা দল পা‌শে থাক‌বে।”

 আহ্বয়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, “জুলাই বিপ্ল‌বে নিহত ও আহত‌দের ঋণ আমরা কখনো শোধ কর‌তে পার‌বো না। তা‌দের র‌ক্তের বি‌নিম‌য়ে আমরা স্বৈরাচার থে‌কে মুক্ত হ‌য়ে‌ছি। আমরা তা‌দের পা‌শে আছি এবং সবসময় থাক‌ব।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণঅভ য ত থ ন র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি মুছে দিল দুর্বৃত্তরা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) সংলগ্ন ছাত্র আন্দোলন চত্বরে বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠন ‘পাটাতন’ অঙ্কিত গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সংবলিত গ্রাফিতি রাতের কোনো এক সময় মুছে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বুধবার রাতেও গ্রাফিতিগুলো রঙিন ছিল। রাতের কোনো এক সময় গ্রাফিতির ওপর কালো রঙের স্প্রে দিয়ে মুছে দেওয়া হয়েছে।

পাটাতনের সাধারণ সম্পাদক সায়েম মোহাইমিন জানান, গণহত্যার ইতিহাসকে যদি ভুলে যাওয়া হয়, তাহলে গণহত্যা বারবার হবে। তাই পাটাতন থেকে জুলাইয়ের শহীদদের স্মৃতিকে গ্রাফিতি আকারে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করেছেন তারা। বিশেষ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলন চত্বর থেকেই এ আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ তৈরি হয়েছিল, বাংলা ব্লকেড এখান থেকেই করা হয়। এখানে এমন ঘৃণ্য কাজ করা কেবল গণহত্যার দোসরদের দ্বারাই সম্ভব। এ ধরনের কাজের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। 
প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন তিনি। সেই সঙ্গে জুলাইয়ের স্মৃতিতে ক্যাম্পাসে একটি ‘স্মৃতি মিনার’ তৈরি করতে অনুরোধ জানান তিনি।

এ বিষয়ে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক হান্নান রহিম বলেন, ‘গ্রাফিতি মুছে ফেলার মাধ্যমে স্বৈরাচারের দোসররা জুলাইকে মুছতে চায়, ছাত্র আন্দোলন চত্বরকে মুছতে চায়, তারা জানে না– যা কিছু রক্ত দিয়া লেখা হয়, তা মুছা যায় না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে, পাশাপাশি জুলাইকে বাঁচিয়ে রাখতে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে বিশ্বাস রাখতে চাই।’

কুবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভর ভাষ্য, গণআন্দোলনে দল-মত নির্বিশেষে যৌক্তিক দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন তারা। এ আন্দোলনে অনেকে শহীদ হয়েছেন। তাদের স্মৃতিতে গ্রাফিতি অঙ্কনের জন্য ‘পাটাতন’ সাধুবাদ পাওয়ার দাবিদার। ছাত্রদলও এমন কিছু করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে যারা এগুলো মুছে দিতে চাইছে, হয়তো তারা ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগ কিংবা প্রশাসনে থাকা স্বৈরাচারের দোসর। এতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, স্বৈরাচার এখনও বিদ্যমান।

কুবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইউসুফ ইসলাহী বলেন, ‘পাটাতন যে গ্রাফিতি অঙ্কন করেছিল, সেগুলো যারাই মুছে দিয়েছে, তারা ফ্যাসিস্টের পদলেহী বলেই আমরা মনে করি। আমি বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে সোচ্চার ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাই।’

সহকারী প্রক্টর ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ জানান, প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ ও দাবি এলে হয়তো প্রশাসন আমলে নেবে। গণআন্দোলনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাই এর স্মৃতি সংরক্ষণে দাবি-দাওয়া আমলে নিয়ে প্রশাসনের এগিয়ে আসা উচিত।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল হাকিমের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। আর জুলাই স্মৃতি মিনার করার ব্যাপারে রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত আবেদন করলে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তরুণরা নতুন রাজনীতির কথা বলে পুরোনো পথেই হাঁটছে: নুরুল হক নুর
  • তরুণরা নতুন রাজনীতির কথা বলে পুরোনো পথেই হাঁটছে: নুরুল হক নূর
  • অস্ত্র ফেরত চান আ.লীগ নেতারা
  • গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি মুছে দিল দুর্বৃত্তরা
  • আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন