‘তুমি আর নেই সে তুমি’ - আনুশকার রহস্যময় পোস্ট
Published: 17th, March 2025 GMT
ভারতীয় ক্রিকেট তারকা বিরাট কোহলির স্ত্রী ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে একটি রহস্যময় পোস্ট শেয়ার করেছেন। তার এই পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। যেখানে তিনি এক ব্যক্তির বিভিন্ন সংস্করণ নিয়ে কথা বলেছেন।
পোস্টে আনুশকা লিখেছেন, “প্রত্যেক মানুষের মনে আপনার একটি আলাদা সংস্করণ বিদ্যমান। আপনি যেভাবে নিজেকে ভাবেন, সেটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই সত্য। এমনকি, আপনিও জানেন না প্রকৃতপক্ষে আপনি কে। প্রত্যেক ব্যক্তি যাদের সাথে আপনি দেখা করেন, সম্পর্ক গড়ে তোলেন বা রাস্তায় চোখাচোখি হয়, তাদের মনে আপনার আলাদা একটি প্রতিচ্ছবি তৈরি হয়।”
তিনি আরও যোগ করেন যে, এমনকি পরিবারের সদস্যদের কাছেও একজন ব্যক্তি ভিন্নরূপে ধরা দেয়। “আপনার মা, বাবা, ভাইবোনের কাছে আপনি যে ব্যক্তি, কর্মস্থলে সহকর্মীদের কাছে আপনি সেই একই ব্যক্তি নন। প্রতিবেশী বা বন্ধুদের চোখেও আপনি আলাদা। হাজারো সংস্করণে আপনার অস্তিত্ব রয়েছে মানুষের মনে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, আপনার নিজস্ব ‘আমি’ বলে কিছু নেই।”
আরো পড়ুন:
খুশদিল শাহকে শাস্তি
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করে আর্থিক বিপর্যয়ে পাকিস্তান
এদিকে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) ইনোভেশন ল্যাব আয়োজিত ‘ইন্ডিয়ান স্পোর্টস সামিট’-এ বিরাট কোহলি তার হতাশার কথা জানান যে, আন্তর্জাতিক সফরে ক্রিকেটারদের স্ত্রী বা সঙ্গীরা আর আগের মতো সহজে সফরসঙ্গী হতে পারেন না।
কোহলি বলেন, “বাইরের জগতে যত চাপই থাকুক না কেন, পরিবারের কাছে ফিরে আসাটা মানসিকভাবে স্থির থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখনকার নীতির কারণে সেটি সহজ হচ্ছে না।”
তিনি আরও জানান, যখন কোনো খেলোয়াড় পারফর্ম করতে ব্যর্থ হন, তখনই এই বিতর্ক ওঠে যে, সফরে স্ত্রী বা সঙ্গীদের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করা উচিত। এই ধরনের আলোচনা তাকে যথেষ্ট হতাশ করে। কোহলি বলেন, “মানুষ বুঝতেই পারে না যে, পরিবারের উপস্থিতি একজন খেলোয়াড়ের জন্য কতটা মূল্যবান। অথচ, যাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, তাদের নিয়েই আলোচনা শুরু হয়ে যায় এবং বলা হয়— ‘তাদের দূরে রাখা উচিত’।”
বিসিসিআইয়ের নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো আন্তর্জাতিক সফর যদি ৪৫ দিনের বেশি হয়, তাহলে খেলোয়াড়দের স্ত্রী বা সঙ্গীরা একবারের জন্য যোগ দিতে পারবেন। তবে আনুশকার এই পোস্ট কোহলির মন্তব্যের প্রতিফলন কিনা, তা পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। তবে দু’টি বিষয় একসঙ্গে সামনে আসায় এটি নিয়ে আলোচনা আরও তীব্র হয়েছে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক হল র জন য আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
১২৭ কর্মকর্তার সঙ্গে আজ প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা ও বাহিনীর নীতিনির্ধারকদের আজ সোমবার গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পুলিশের ভেতরেও এই অনুষ্ঠান ঘিরে রয়েছে বিশেষ আগ্রহ। চলমান পরিস্থিতিতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের এ ধরনের অনুষ্ঠান উজ্জীবিত করবে বলে মনে করছেন অনেকে। আবার পুলিশ সদস্যরা স্বাধীন পুলিশ কমিশনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরবেন। এ ছাড়া মাঠ পর্যায় থেকেও অনেকে তাদের অম্লমধুর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরতে পারেন।
পুলিশের ১২৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা। এতে তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। গতকাল রোববার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং সিনিয়র সহকারী প্রেস সেক্রেটারি ফয়েজ আহম্মদ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৈঠকে দেশের সব জেলার পুলিশ সুপার (এসপি), রেঞ্জ ডিআইজি (উপমহাপরিদর্শক), মহানগর পুলিশ কমিশনার, সব ইউনিটের প্রধান, পুলিশ সদরদপ্তরের তিনজন ডিআইজি ও সব অতিরিক্ত আইজিপি এবং আইজিপি উপস্থিত থাকবেন।
অনুষ্ঠানে পুলিশের পক্ষ থেকে ‘স্বাধীন পুলিশ কমিশন’ গঠনের দাবি উপস্থাপন করা হতে পারে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পুলিশের একশ্রেণির সদস্য নির্বিচার গুলি করে অসংখ্য মানুষ হত্যা করেছে। এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পুলিশকে প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ রাখতে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের দাবি ওঠে।
পুলিশ সদরদপ্তরের মুখপাত্র এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, প্রধান উপদেষ্টা পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। এতে তারা উজ্জীবিত হবেন। বাহিনীতেও ইতিবাচক বার্তা যাবে। পুলিশের আরেক কর্মকর্তা বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হলে সেখানে স্বাভাবিকভাবে নানা প্রত্যাশা ও সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়। এই বৈঠকেও এ ধরনের বিষয় সামনে আসতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকার গত ৩ অক্টোবর পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশন ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। সংস্কার কমিশনের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি পুলিশের জন্য পৃথক একটি কমিশন গঠনের পক্ষে মত দেন।
সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ সংস্কার কমিশন একটি নিরপেক্ষ প্রভাবমুক্ত ‘পুলিশ কমিশন’ গঠনের বিষয়ে নীতিগতভাবে ঐকমত্য পোষণ করে। প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশন আইনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হবে, নাকি সাংবিধানিক কাঠামোভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান হবে– সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। এ ছাড়া পুলিশ কমিশনের গঠন, কার্যপরিধি, সাংবিধানিক বা আইনি বাধ্যবাধকতা ইত্যাদি বিষয় আরও বিচার-বিশ্লেষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। বাছাই কমিটির সুপারিশের মাধ্যমে বিভিন্ন পেশা থেকে চারজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি পুলিশ কমিশনের সদস্য হবেন। এর মধ্যে একজন আইনজ্ঞ, একজন অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি, সমাজবিজ্ঞান বা পুলিশিং বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষাবিদ ও একজন মানবাধিকারকর্মী থাকবেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, প্রতিবেদনের এই অংশ নিয়ে জোর আপত্তি রয়েছে পুলিশ সদস্যদের। সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশে সাধারণ মানুষের চাওয়াকে অগ্রাহ্য করেছে বলেও মনে করেন পুলিশ সদস্যরা। তারা বলছেন, কমিশন গঠনই করা হয়েছে বিশেষজ্ঞ সদস্যদের মাধ্যমে। সেখানে যখন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ‘বিশেষজ্ঞ মতামত’ গ্রহণের কথা বলা হয়, তখন তাদের ভূমিকা ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ ছাড়া ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিচার-বিশ্লেষণের’ কথাটিকে সংস্কার প্রক্রিয়া ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা বলেও মনে করছেন কর্মকর্তাদের অনেকে।