বনাইদ বাবু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি এস. আলম ইসরাৎ
Published: 17th, March 2025 GMT
নরসিংদী সদরের আমদিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 'বনাইদ বাবু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়'-এর এডহক কমিটির সভাপতি মনোনীত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-এর কৃতি সন্তান, মরহুম বাবু মিয়ার সুযোগ্য দৌহিত্র, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল নেতা এস. আলম ইসরাৎ।
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এস. আলম ইসরাৎ যুক্তরাজ্যের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় হ্যারিওট-ওয়াট থেকে বিবিএ সম্পন্ন করে বর্তমানে চাটার্ড একাউন্ট্যান্টে অধ্যায়নরত এবং নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজে এলএলবি শেষ বর্ষে শিক্ষানবিশ আছেন।
ছাত্রদলের রাজনীতির মাধ্যমে পারিবারিক ঐতিহ্যগতভাবেই রাজনৈতিক অঙ্গনে অভিষেক এস.
প্রসঙ্গত, এস. আলম ইসরাৎ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আলহাজ্ব মোঃ নূর আলম মিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র এবং গ্রীস বিএনপি'র আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রীসের নির্বাচন কমিশনার এস. আলম নিপু এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাইবার ইউজার দল-কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বিএনপি-বহিঃবিশ্ব কমিটির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এস. আলম রাজীবের ছোট ভাই।
১৯৯২ সালে এস. আলম ইসরাৎ এর দাদা মরহুম আবদুল কাদির মিয়া (বাবু মিয়া)'র নামে প্রতিষ্ঠিত 'বাবু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়' এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ডক্টর আব্দুল মঈন খানের সম্মতিতে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জানে আলম সাহেব সহ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সকলের এবং স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমর্থনে উক্ত এডহক কমিটির সভাপতি পদে এস. আলম ইসরাৎ-এর নাম প্রস্তাব করা হয়।
সকলের প্রত্যাশা সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে তরুণ এডহক কমিটির সভাপতি এস. আলম ইসরাৎ-এর মেধাবী ও সুযোগ্য নেতৃত্বে এবং সকলের দোয়া, ভালবাসা, সমর্থন ও সহযোগিতায় তিনি একটি সুন্দর ম্যানেজিং কমিটি উপহার দিবেন এবং বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখবেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ম সদস য ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
নিজ ঘরে নারীর লাশ শরীর ব্লেডে চেরা
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নিজ ঘরে পাওয়া গেছে শামসুন্নাহার চৈতি (২৬) নামের এক নারী শ্রমিকের লাশ। আজ রোববার ভোরে উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের কালিবাড়ী এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই নারীর শরীরে বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে চৈতির স্বামী সাইফুল ইসলাম পলাতক। তিনিই স্ত্রীকে নির্যাতনের পর ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যা করেছেন বলে পুলিশের ধারণা।
নিহত শামসুন্নাহার চৈতি ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানাধীন হাড়িয়াগাই এলাকার সামসুউদ্দিন মিয়ার মেয়ে। তাঁর স্বামী সাইফুল ইসলামের বাড়িও একই এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে পুলিশ জানায়, দুপ্তারা ইউনিয়নের কালিবাড়ী এলাকার একটি পোশাক তৈরির কারখানায় কর্মরত ছিলেন চৈতি। একই এলাকার মাসুম মিয়ার বাড়িতে স্বামীকে নিয়ে ভাড়ায় থাকতেন। রোববার ভোরে অন্য ভাড়াটিয়ারা ঘরে চৈতির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তারা বিষয়টি বাড়িমালিক মাসুমকে জানালে তিনি আড়াইহাজার থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
প্রতিবেশী ও অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনৈতিক সম্পর্কের জের ধরে সাইফুলের সঙ্গে ও চৈতির বেশ কিছুদিন ধরে সমস্যা দেখা দেয়। এ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হতো দু’জনের মধ্যে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, নিহত নারীর শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্লেড জাতীয় জিনিস দিয়ে কাটার চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে দৈহিক নির্যাতনের পর ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিল তাঁকে। মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনেই মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।