৫ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে বেরোবিতে গণইফতার
Published: 17th, March 2025 GMT
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গণইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। এতে ৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
সোমবার (১৭ মার্চ) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল মাঠে এ গণ ইফতার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা। এছাড়াও জুলাই আন্দোলনে আহত রংপুর বিভাগের ছাত্রজনতাও উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে তারা দারুণ আনন্দিত। তাদের মতে, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে এত বড় পরিসরে ইফতারের আয়োজন হয়নি।
সাজু নামে শিক্ষার্থী বলেন, “এ ধরনের আয়োজন আমাদের সৌহার্দ্য শেখায়। আমরা চাই, এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকুক।”
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “গণ ইফতারে অংশ নিয়ে সত্যিই অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। জুলাই আন্দোলনে আহত ভাইয়েরাও আজ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রমনা বটমূলে গান–কবিতা–উচ্ছ্বাসে ছায়ানটের বর্ষবরণ, বিভাজন ভাঙার প্রত্যয়
পুব আকাশে সবে লাল সূর্য উঠতে শুরু করেছে। মঞ্চে প্রস্তুত শিল্পীরা। সামনে দর্শকসারিতে ভিড় জমে গেছে। শিল্পী সুপ্রিয়া দাশ গেয়ে উঠলেন ‘ভৈরবী’ রাগালাপ। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণের পালা। আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর রমনা বটমূলে এর আয়োজন করে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট।
রাগালাপের পর ‘নূতন প্রাণ দাও, প্রাণসখা’ সম্মেলক গান শোনান ছায়ানটের শিল্পীরা। ‘তিমির দুয়ার খোলো’ একক গান পরিবেশন করেন শিল্পী দীপ্র নিশান্ত। পাখিডাকা ভোরে, সবুজের আচ্ছাদনে দর্শনার্থীরা যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করেন এ আয়োজন।
এরপর একে একে ২৫টি রাগালাপ, গান আর আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ছায়ানটের শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত। এ সময় কণ্ঠ মেলান উপস্থিত হাজারো দর্শক। এর মধ্য দিয়ে এবারের আয়োজন শেষ হয়।
তবে অনুষ্ঠান শেষের আগে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ মানবতার বিপর্যয় এবং গণহত্যায়, বিশেষ করে শিশু হত্যার তীব্র নিন্দা জানান তাঁরা। ফিলিস্তিনিরা আপন ভূমি রক্ষায় যে সংগ্রাম করছেন, তার প্রতিও সংহতি জানানো হয়।
এবার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। রমনার বটমূল, ঢাকা, ১৪ এপ্রিল