জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে তিন শতাধিক জাপা নেতা-কর্মীর পদত্যাগ
Published: 17th, March 2025 GMT
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ও এর সহযোগী সংগঠনের তিন শতাধিক নেতা-কর্মী দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার মতলব কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডি এম আলাউদ্দিন কবিরের নেতৃত্বে তাঁরা এ পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
পদত্যাগ করা বেশ কয়েকজন নেতা বলেন, বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট ও খুনি শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে জাতীয় পার্টি কাজ করার প্রতিবাদে এবং নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগদানের লক্ষ্যে তাঁরা পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগের কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডি এম আলাউদ্দিন কবির, মতলব পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি মহসিন সরকার, মতলব পৌর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি আলমগীর হোসেন প্রমুখ। এরপর একযোগে ঘোষণা দিয়ে জাতীয় পার্টি ও এর সহযোগী সংগঠনের তিন শতাধিক নেতা-কর্মী দল থেকে পদত্যাগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা জাতীয় পার্টির পদত্যাগী সাধারণ সম্পাদক ডি এম আলাউদ্দিন কবির প্রথম আলোকে বলেন, গত ১৬ বছর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ফ্যাসিস্ট ও খুনি শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করেছে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নানা অপকর্ম ও খুন-খারাবিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ দিয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতারা। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এ কর্মকাণ্ডের প্রতি তাঁরা কোনোমতেই একমত নন এবং অনুতপ্ত। জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে তাঁরা দল থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁরা সবাই শিগগির জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দেবেন।
পদত্যাগকারী উল্লেখযোগ্য অন্য নেতারা হলেন নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি সার্জেন কাদের, মতলব পৌর মহিলা জাতীয় পার্টির সভাপতি কাজল রেখা, উপজেলা মহিল জাতীয় পার্টির সভাপতি শাহানা বেগম ও উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আব্দার রহমান মানিক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রাণ গেল একজনের, আহত ২
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে সরকারি খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ও খালপাড় দখল নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। বুধবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের বহরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম বশির প্রধানীয়া। তার বাড়ি বহরী গ্রামে।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বহরী গ্রামের কৃষক বশির প্রধানীয়া ও রমিজ উদ্দিন বয়াতীর মধ্যে খালপাড়ের দখল ও খালের মাছ ধরা নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে ইতিপূর্বে ওই দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার তর্ক-বিতর্ক ও মারামারির ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার বিকেলে ওই খালের পাড়ে এ নিয়ে বশির ও রমিজ উদ্দিনের পক্ষের লোকজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বুধবার বেলা ১২টার দিকে সরকারি খালে মাছ ধরতে যান বশির প্রধানীয়া ও তার দুই ছেলে। এতে বাধা দেন রমিজ উদ্দিন ও তার লোকেরা। এ নিয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এসময় রমিজ উদ্দিনের লাঠির আঘাতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন বশির। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হন বিল্লাল হোসেন ও মো. জয়নাল।
বশির প্রধানীয়ার মেয়ে তাহমিনা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, খালপাড় দখল ও সেখানে মাছ ধরা নিয়ে বিরোধের জেরে তার বাবা ও ভাইদের বেধড়ক পিটিয়েছেন রমিজ উদ্দিন ও তার লোকজন। তাদের লাঠির আঘাতে আমার বাবা মারা গেছেন। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
এ বিষয়ে রমিজ উদ্দিন বয়াতীর মোবাইলে ফোন দিলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মতলব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেহ আহাম্মেদ বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।