দক্ষিণী নির্মাতার হাত ধরে খলনায়ক হয়ে ফিরছেন শাহরুখ
Published: 17th, March 2025 GMT
দক্ষিণী নির্মাতা অ্যাটলি কুমারের সঙ্গে ক্যারিয়ারের অন্যতম সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন বলিউড তারকা শাহরুখ খান। মাঝে এক বছরের বিরতি। এবার দক্ষিণের পুষ্পাখ্যাত নির্মাতা সুকুমারের সঙ্গে হাত মেলাতে চলেছেন ‘কিং খান’। এই সিনেমায় নাকি খলনায়কের ভূকিমায় দেখা যাবে বলিউড বাহশাহকে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সুকুমার গ্রামীণ রাজনৈতিক অ্যাকশন ড্রামা নিয়ে এক ছবি নির্মাণ করতে চলেছেন। এই ছবিতে শাহরুখকে খলনায়কের চরিত্রে দেখা যাবে। বৈষম্যের মতো সামাজিক সমস্যা ঘিরে ছবিটি নির্মাণ করা হবে।
সুকুমারের হাতে ‘আরসি ১৭’,‘পুষ্পা ৩’ ও ‘র্যাম্পেজ’ ও এক রোমান্টিক ড্রামা ছবি আছে। এদিকে শাহরুখ ব্যস্ত থাকবেন ‘কিং’ ও ‘পাঠান ২’ নিয়ে।
শাহরুখ আর সুকুমারের জুটি দেখার জন্য সিনেমাপ্রেমীদের প্রায় দুই বছর মতো অপেক্ষা করতে হতে পারে।
শাহরুখকে শেষ বড় পর্দায় দেখা গেছে ২০২৩ সালে ‘ডানকি’ ছবিতে। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাপসী পান্নু। এই একই বছর কিং খানের ‘পাঠান’ ও ‘জওয়ান’ মুক্তি পেয়েছিল। এই দুই ছবি বক্স অফিসে রীতিমেতা ঝড় তুলেছিল। সূত্র: আনন্দবাজার।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী শ্রমিক নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ১০
গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাবিনা আক্তার (২৮) নামের এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ছয় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সাবিনা আক্তার ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার খালসাইদফুনা গ্রামের বাসিন্দা রাব্বি মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমবার ইফতারের পর বাঘের বাজার এলাকার গোল্ডেন রিপিট নামের একটি কারখানায় যাচ্ছিলেন সাবিনা আক্তারা। বাঘের বাজার এলাকায় মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একটি মাইক্রোবাস তাঁকে ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন প্রথমে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় নারী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সহকর্মী শ্রমিক ও স্থানীয় লোকজন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিক ও এলাকাবাসী কারখানায় ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন।
সংঘর্ষের সময় উত্তেজিত শ্রমিকেরা মহাসড়কে বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালান। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের সঙ্গে যোগ দিলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও লাঠিপেটা করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল হালিম বলেন, শ্রমিক নিয়ন্ত্রণের সময় বহিরাগতরা সুযোগ নিয়ে কারখানায় ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। পুলিশ বাধা দিলে তাঁরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে থানা–পুলিশের তিনজন ও শিল্প পুলিশের তিনজনসহ মোট ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয় এবং যান চলাচল শুরু হয়।