ধর্ষণ মামলার বিচার আদালত চাইলে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই করতে পারবে: আইন উপদেষ্টা
Published: 17th, March 2025 GMT
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, আদালত চাইলে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়া এখন ধর্ষণ মামলার বিচার করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, নতুন সংশোধনী অনুযায়ী আমি আগেই বলেছিলাম বিচার ও তদন্তের সময় কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যাপারে নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন উপদেষ্টা পরিষদ।
তিনি জানান, শুধু শিশু ধর্ষণ মামলার আলাদাভাবে বিচার করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া আমরা ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে কিছু ডেফিনেশন এনেছি। শুধু পুরুষ কর্তৃক না যেকোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণকে শাস্তিযোগ্য করা হচ্ছে। যেকোনো ফর্মে ধর্ষণকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।
ধর্ষণ মামলায় ডিএনএ রিপোর্টের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, তৃতীয় যে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হচ্ছে সেটা হচ্ছে ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় অনেক মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকত। আমরা এই আইনে বিধান করেছি ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই আদালত যদি মনে করে মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচার সম্ভব, তাহলে আদালত ডিএনএ সার্টিফিকেট ছাড়াই মামলা দ্রুত বিচার করবে।
আইন উপদেষ্টা জানান, আগামী বৃহস্পতিবার এটা চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাবে আশা করছি। এরপর খুব দ্রুত গেজেট নোটিফিকেশনও হয়ে যাবে। তবে ক্লিয়ার করি, এর সঙ্গে মাগুরা হত্যা ও ধর্ষণ মামলার বিচারের সম্পর্ক নেই। ওই বিচার এগিয়ে চলেছে নিজস্ব গতিতে। ওই মামলার ডিএনএ রিপোর্ট আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই মামলার বিচার শুরু হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইন উপদ ষ ট ড এনএ র প র ট ন উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
বাড়ির ছাদে মিলল যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ
নিজ বাড়ির ছাদ থেকে আলমগীর হোসেন নামে এক যুবকের রক্তমাখা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাতে চাঁদপুরের শাহরাস্তির চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের মণিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ৩৫ বছর বয়সী আলমগীরের বাবার নাম শহিদুল ইসলাম।
পুলিশ বলছে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে এবং গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলম বেলাল জানান, ইফতারের পর হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়েছি। আলমগীর এলাকায় মাইকিংয়ের কাজ করতেন। পারিবারিক কোন শত্রুতা নাকি অন্য কোন কারণে এই হত্যা তা জানা যায়নি।
তিনি বলেন, ‘আলমগীরকে ভালো হিসেবেই জানি। তিনি অত্যন্ত সহজ সরল। তার কোন শত্রু থাকতে পারে তা আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, ‘বাড়ির ছাদে গলা কাটা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের শরীর ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। রাত সাড়ে ৭টা থেকে পৌনে আটটার মধ্যে এ হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। দ্রুতই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য খুঁজে বের করা হবে।