দীর্ঘ চার ঘণ্টা আটকে থাকার পর ইঞ্জিন সমস্যার সমাধান হলে ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ‘কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি। বিকল ইঞ্জিন মেরামতের পর বিকেল ৫টার দিকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ট্রেনটি ছেড়ে যায়।

এর আগে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ভৈরব থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের জগন্নাথপুর-লক্ষ্মীপুর এলাকায় হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ে ট্রেনটি। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন কয়েক শতাধিক যাত্রী।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে সঠিক সময়ে ভৈরব স্টেশনে পৌঁছায়। স্টেশন থেকে নির্দিষ্ট সময়ের যাত্রা বিরতির পর কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে ১২টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। কিছুদূর যেতেই পৌর শহরের জগন্নাথপুর-লক্ষ্মীপুর এলাকায় হঠাৎ ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। পরে নাসিরাবাদ থেকে একটি ইঞ্জিন এনে ট্রেনটি উদ্ধার করে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে রাখা হয়।

পরে ইঞ্জিন মেরামতের পর বিকেল ৫টার দিকে ট্রেনটি যাত্রীদের নিয়ে ভৈরব স্টেশন থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ফলে ৩ ঘণ্টা কিশোরগঞ্জ-ভৈরব রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে বিজয় এক্সপ্রেস, নাসিরাবাদ ও এগারো সিন্দুর, গোধূলি ট্রেনগুলো ছাড়তে বিলম্ব হয়।

এ বিষয়ে যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেন বিকল হলে যাত্রীদের নির্দেশনা দেওয়ার কথা। কিন্তু ৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দেশনা দেয়নি।

এ বিষয়ে ভৈরব স্টেশন মাস্টার আবু ইউসুফ বলেন, ট্রেনের হাওয়া জটিলতায় ইঞ্জিন চালু হলেও বগি নিয়ে ট্রেনটি ছুটতে পারছিলো না। সাড়ে তিনটায় কুলিয়ারচর থেকে নাসিরাবাদ ট্রেনের ইঞ্জিন এনে সেটির সহযোগিতায় পুনরায় ট্রেনটি ভৈরব এনে মেরামত করা হয়। পাঁচটার দিকে ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ল য গ য গ বন ধ

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে বর্ষবরণে নানা আয়োজন

‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মধ্য দিয়ে কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে নতুন বছর ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে বরণ করেছে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।

আজ সোমবার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এতে জেলা প্রশান, প্রচ্ছদ, হিজিবিজি, সরকারি কলেজ, উদীচী, এনসিটিএফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠন আলাদাভাবে শোভাযাত্রার আয়োজন করে।

জেলার ঐতিহ্য গরুর গাড়ি, পুতুল নাচ, চরের কৃষকদের নানা কথা উঠে আসে শোভাযাত্রার মোটিভগুলোতে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি জেলা শহরের কুড়িগ্রাম সরোবরে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়াও সেখানে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি কুড়িগ্রাম ইকো পার্কে পুতুল নাচ, ভেলাকোপা গ্রামে লাঠি খেলা, পাঁচগাছির ভেলুর বাজারে ঘোড়া খেলাসহ দিন্যবাপী বর্ষবরণের নানা আয়োজন জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিগত কয়েকবছর ধরে জেলায় বৈশাখী মেলা না হওয়ায় কিছুটা অখুশি দেখা যায় জেলা শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে।

জেলা শহরের বাসিন্দা হামিদুল হক বলেন, ‘প্রতিবছর কুড়িগ্রামে ধুম-ধাম করে বর্ষ বরণ হলেও, বিগত কয়েক বছর থেকে বৈশাখী মেলা হয় না, এটি হলে ভালো হতো।’

পুতুল নাচ দেখতে আসা জারা ইসলাম বলেন, ‘বাবার সঙ্গে প্রথম পুতুল নাচ দেখতে আসলাম, খুব ভালো লাগছে।’

হিজিবিজির সংগঠক রাজ্য জ্যোতি বলেন, ‘বর্ষ বরণের নানা আয়োজন কুড়িগ্রাম সরোবরে দিনব্যাপী চলবে। প্রশাসন থেকে সব ধরণের নিরাপত্তা দিচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ