বিমানবন্দর থেকে হবিগঞ্জের বাড়ি—যখন যেদিকে যাচ্ছেন হামজা চৌধুরী, টের পাচ্ছেন তাঁকে ঘিরে উন্মাদনা। হাজারো মানুষ ভিড় করছেন তাঁর বাড়ির সামনে। তাঁকে বরণ করে নিতে ছিল ফুলের তোড়া, ফ্লেয়ার ও পতাকা। বাংলাদেশে পা রেখেই ক্রীড়াঙ্গন সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন হামজা।  

আরও পড়ুন‘আফনারা সবাই আসছেন আমারে দেখবার লাগি, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’: নিজের বাড়িতে সংবর্ধনা মঞ্চে হামজা১ ঘণ্টা আগে

হামজাই কি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় তারকা? গত কয়েক দিন ধরে এই আলোচনাও আছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তাঁর তুলনাটা হচ্ছে মূলত ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। দুজনের মধ্যে কার বেশি খ্যাতি, এ নিয়ে যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা তুঙ্গে—তখন প্রশ্নটা পৌঁছে গেছে হামজার কাছেও।

হবিগঞ্জে নিজ বাড়িতে বাবার সঙ্গে হামজা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাত পোহালেই যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন 

রাত পোহালেই যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম যমুনা রেলসেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এর ফলে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে রেল যোগাযোগ আরো সহজ হবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ৫০টি পিলার আর ৪৯টি স্প্যানের ওপর অত্যাধুনিক স্টিল প্রযুক্তির অবকাঠামোতে নির্মিত এই সেতুটি পার হতে ট্রেনের ৩ থেকে সাড়ে ৩ মিনিট সময় লাগবে। 

রেল সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) আবু ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, “নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে ডাবল লেনের রেল লাইন তৈরি করা হবে। এর ফলে যোগাযোগ, বাণিজ্য ও অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।”

এদিকে, সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সব প্রস্তুতি নিয়েছে রেলপথ বিভাগ। যমুনা রেলসেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা সিনিচি থাকবেন বলেও জানা গেছে। 

আরো পড়ুন:

যমুনা রেল সেতুর উদ্বোধন মঙ্গলবার, পার হতে লাগবে সাড়ে ৩ মিনিট

দুর্ভোগের কেন্দ্রবিন্দু ফরিদপুরের বেইলি ব্রিজ

উদ্বোধনী কর্মসূচির মধ্যে যমুনা রেল সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সকাল ১১টা ২০ মিনিটে সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তে সয়দাবাদ রেল স্টেশন পর্যন্ত উদ্বোধনী ট্রেনে অতিথি ও সংশ্লিষ্টরা যমুনা রেল সেতু পার হবেন। ১১টা ৪০ মিনিটে সয়দাবাদ রেল স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করবেন তারা। দুপুর ১২টায় ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন পূর্ব প্রান্তে ফেরত যাবেন।

রেলওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান বলেন, “যমুনা রেল সেতু দিয়ে ট্রেন পারাপারে আগের তুলনায় কম সময় লাগবে। ফলে দুই পাড়েই সময় সাশ্রয় হবে। ডাবল লেনের সুবিধা পেতে হলে আমাদের আরো অপেক্ষা করতে হবে।”

বাংলাদেশ রেলওয়ে চিফ ইঞ্জিনিয়ার তানভীরুল ইসলাম বলেন, “রেল সেতুতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যে কারণে রেল সেতুতে পরবর্তী সময়ে রং করার প্রয়োজন হবে না। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার ডাবল লাইন ডুয়েলগেজ সেতুটি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে ঢাকার সঙ্গে রেলপথের মাধ্যমে সংযুক্ত করবে।”

সহকারী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, “সেতু দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। উদ্বোধনের দিন থেকে প্রথম পর্যায়ে সেতু নিয়ে ৯০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। এতে সময় লাগবে সাড়ে ৩ মিনিট। আগে যমুনা সেতু দিয়ে ট্রেন পাড়ি দিতে সময় লাগতো ২০ মিনিট।” 

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ