বন্দরে পিতা-পুত্রের অনৈতিক কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
Published: 17th, March 2025 GMT
বন্দরে মাদক ব্যবসায়ী রমজান ও তার সন্ত্রাসী পুত্র হোসেনের অনৈতিক কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ বন্দর থানার ফরাজিকান্দা উত্তরপাড়া এলাকার মৃত হাসান মিয়ার ছেলে চিহ্নিত মাদক কারবারি রমজানের মাদক স্পটে হাত বারালেই পাওয়া যাচ্ছে মরন নেশা ইয়াবা, হেরোইন, ফেন্সিডিলসহ নানা প্রকার মাদকদ্রব্য। এমন কথা জানিয়েছে স্থানীয়রা ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফরাজিকান্দা এলাকার একাধিক ব্যাক্তি আরো জানিয়েছে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে ফরাজিকান্দা, লাহরবাড়ী ও বেপারীপাড়াসহ এর আশেপাশে এলাকায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অবাধে ইয়াবা বিক্রি করে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এ ছাড়াও তার সন্ত্রাসী ছেলে হোছেনের রয়েছে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী।
প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী হোছেন উল্লেখিত এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য কিশোর গ্যাং নিয়ে গোটা এলাকায় দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ী পিতা ও সন্ত্রাসী পুত্র কারনে উল্লেখিত এলাকাসহ এর আশেপাশের এলাকায় গুলোতে অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পাওয়াসহ আইন শৃঙ্খলা ব্যাপক অবনতি ঘটেছে।
পাশাপাশি রমজানের মাদক স্পটের কারনে ফরাজিকান্দা, বেপারীপাড়া, দড়ি সোনাকান্দাসহ এর আশেপাশের এলাকা গুলোতে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী পিতা পুত্রের অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য যৌথ বাহিনী জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ফর জ ক ন দ এল ক য় ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসক মাত্র ৩ জন, অন্তঃসত্ত্বাদের সেবায় নার্স, দাঁতের চিকিৎসায় টেকনোলজিস্ট
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার দিঘিরপাড় গ্রামের কিশোরী ইয়াসমিন আখতার (১৫) পেটে ব্যথা নিয়ে রোববার দুপুরে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। জরুরি বিভাগের স্বাস্থ্য সহকারীরা রোগীর শয্যায় তাঁকে শুইয়ে রাখেন। কিছু সময় পর জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এভাবে প্রতিদিন তিনজন চিকিৎসক, চার থেকে পাঁচজন স্বাস্থ্য সহকারী ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দিয়ে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫০ থেকে ৩০০ মানুষের চিকিৎসা চালাতে হচ্ছে। এ উপজেলায় প্রায় আড়াই লাখ মানুষের বসবাস।
হাসপাতালে গিয়ে পাওয়া গেল চিকিৎসক আলমগীর হোসেনকে। তিনি হাসপাতালের ১০ নম্বর কক্ষে বসেন। এ কক্ষের সামনে রোগীদের ভিড় দেখা গেল বেশি। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসক সংকটের কারণে রোগীর চাপ একটু বেশি। এত সব রোগী সামলাতে বেশ হিমশিম খেতে হয়। এ ছাড়া বাহুবল দাঙ্গাপ্রবণ এলাকা। হঠাৎ ঝগড়া করে একসঙ্গে ঝাঁকে ঝাঁকে লোকজন চলে আসেন। যতটুকু সম্ভব এর মধ্যেই রোগীদের ভালো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি।’ তিনি জানান, জরুরি বিভাগের দায়িত্ব, বহির্বিভাগের দায়িত্ব, আবাসিক বিভাগের দায়িত্বসহ মোট ৫টি পদে তাঁকে একাই কাজ করতে হচ্ছে। হবিগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রেষণে তাঁকে এখানে পাঠানো হয়েছে।
শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় রোববার অন্যান্য দিনের তুলনায় বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ অনেক বেশি ছিল। সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারে রোগীদের দীর্ঘ সারি। কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা রোগের ধরন অনুযায়ী রোগীদের বিভিন্ন কক্ষে চিকিৎসকদের কাছে পাঠাচ্ছেন।
জরুরি বিভাগ সামলাচ্ছেন একজন চিকিৎসক এবং দুই থেকে তিনজন স্বাস্থ্য সহকারী। তাঁরা রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপত্র দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বলছে, চিকিৎসকের সংকটের কারণে কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়ে জরুরি বিভাগের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। চিকিৎসকদের ১৭টি পদের মধ্যে ১৪টিই শূন্য। শিশুদের জন্য জুনিয়র কনসালট্যান্ট আছেন মাত্র একজন। গাইনি বিভাগের কোনো চিকিৎসক না থাকায় একজন জ্যেষ্ঠ নার্স দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।