অস্কার প্রয়োজন নেই, আমার কাছে জাতীয় পুরস্কারই যথেষ্ট: কঙ্গনা
Published: 17th, March 2025 GMT
কঙ্গনা রানাউত মানেই যেনো বিতর্ক। কোনো রাখঢাক না রেখেই কথা বলা। সম্প্রতি এই অভিনেত্রী তার ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমা নিয়ে মুখ খুলেছেন।
ছবিটি গত সপ্তাহে জাতীয় স্তরের ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েই ‘ট্রেন্ডিং ১’ এ রয়েছে। এই ফলাফল দেখে এক অনুরাগী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনেত্রীকে জানিয়েছিলেন, ছবিটি আন্তর্জাতিক পুরস্কারমঞ্চের প্রতিযোগিতায় যাওয়ার যোগ্য। তখনই কঙ্গনা জানান, তার ছবি জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হলেই খুশি তিনি।
পুরস্কারের বিষয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘অস্কারের পিছনে দৌড়নো ভীষণ বোকা বোকা! আমার কাছে জাতীয় পুরস্কার যথেষ্ট। ‘ইমার্জেন্সি’ জাতীয় সম্মান পেলেই আমি খুশি।’
সকলে যখন আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিখ্যাত হওয়ার জন্য ব্যস্ত, তখনও ব্যতিক্রমী কঙ্গনা। তিনি ভারতের সর্বোচ্চ সম্মানকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ভারতে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ছবিতে কঙ্গনা সেই সময়কে তুলে ধরেছেন। পরিচালনার পাশাপাশি ‘ইন্দিরা গান্ধী’ চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাত পোহালেই যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন
রাত পোহালেই যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম যমুনা রেলসেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এর ফলে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে রেল যোগাযোগ আরো সহজ হবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ৫০টি পিলার আর ৪৯টি স্প্যানের ওপর অত্যাধুনিক স্টিল প্রযুক্তির অবকাঠামোতে নির্মিত এই সেতুটি পার হতে ট্রেনের ৩ থেকে সাড়ে ৩ মিনিট সময় লাগবে।
রেল সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) আবু ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, “নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে ডাবল লেনের রেল লাইন তৈরি করা হবে। এর ফলে যোগাযোগ, বাণিজ্য ও অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।”
এদিকে, সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সব প্রস্তুতি নিয়েছে রেলপথ বিভাগ। যমুনা রেলসেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা সিনিচি থাকবেন বলেও জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
যমুনা রেল সেতুর উদ্বোধন মঙ্গলবার, পার হতে লাগবে সাড়ে ৩ মিনিট
দুর্ভোগের কেন্দ্রবিন্দু ফরিদপুরের বেইলি ব্রিজ
উদ্বোধনী কর্মসূচির মধ্যে যমুনা রেল সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সকাল ১১টা ২০ মিনিটে সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তে সয়দাবাদ রেল স্টেশন পর্যন্ত উদ্বোধনী ট্রেনে অতিথি ও সংশ্লিষ্টরা যমুনা রেল সেতু পার হবেন। ১১টা ৪০ মিনিটে সয়দাবাদ রেল স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করবেন তারা। দুপুর ১২টায় ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন পূর্ব প্রান্তে ফেরত যাবেন।
রেলওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান বলেন, “যমুনা রেল সেতু দিয়ে ট্রেন পারাপারে আগের তুলনায় কম সময় লাগবে। ফলে দুই পাড়েই সময় সাশ্রয় হবে। ডাবল লেনের সুবিধা পেতে হলে আমাদের আরো অপেক্ষা করতে হবে।”
বাংলাদেশ রেলওয়ে চিফ ইঞ্জিনিয়ার তানভীরুল ইসলাম বলেন, “রেল সেতুতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যে কারণে রেল সেতুতে পরবর্তী সময়ে রং করার প্রয়োজন হবে না। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার ডাবল লাইন ডুয়েলগেজ সেতুটি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে ঢাকার সঙ্গে রেলপথের মাধ্যমে সংযুক্ত করবে।”
সহকারী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, “সেতু দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। উদ্বোধনের দিন থেকে প্রথম পর্যায়ে সেতু নিয়ে ৯০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। এতে সময় লাগবে সাড়ে ৩ মিনিট। আগে যমুনা সেতু দিয়ে ট্রেন পাড়ি দিতে সময় লাগতো ২০ মিনিট।”
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ