সাড়ে ছয় বছর আগে বাসায় বেড়াতে এসে চিপস কিনে দেওয়ার কথা বলে চার বছরের এক কন্যাশিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির মামলায় একজনকে দুবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ চট্টগ্রামের বিচারক ফেরদৌস আরা এই রায় দেন।

ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি শফিউল মোরশেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আদালত আসামি শাখাওয়াত হোসেনকে দুবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, তার সহযোগী কমলা বেগমকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১৩ জুন নগরের পতেঙ্গা থানার খেজুরতলা এলাকায় বাসায় বেড়াতে এসে চার বছরের শিশুকন্যাকে চিপস কিনে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যান শাখাওয়াত হোসেন। পরে শিশুটিকে আটকে রেখে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। শাখাওয়াত নগরের ইপিজেড এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

ঘটনার আগে শিশুটির পরিবারে সাবলেট ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন। পরে বাসায় বেড়াতে এসে শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়। পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এই রায় দেন।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, রায় ঘোষণার সময় হাজির ছিলেন আসামিরা। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে অপহরণ, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নয়ন চন্দ্র দাস (২৬) নামে এক নববিবাহিত যুবককে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহরণকারীরা তার মুক্তির জন্য ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে এবং বিষয়টি পুলিশ বা অন্য কারও কাছে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে।

রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে বাজার থেকে একজন ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম সমকালকে জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে নয়ন দাস নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পেয়েছেন তারা। কয়েকটি সূত্র ধরে অপহরণকারীদের খোঁজার চেষ্টা চলছে। তবে এটি অপহরণ নাকি অন্য কোনো ঘটনা, তা জানতে পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

অপহৃত যুবকের মা রত্না রানী দাস বলেন, আমার ছেলে মাত্র ১০ দিন আগে বিয়ে করেছে। তার একটি মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকান আছে। প্রতিদিনের মতো রোববার সকালে দোকানে যাওয়ার পরপরই কিছু অপরিচিত লোক মাইক্রোবাস নিয়ে সেখানে আসে। নয়নের নাম জানতে চেয়ে তারা দোকানের ঠিকানা নিশ্চিত করে। এরপর দোকানে গিয়ে নয়নকে গাড়িতে করে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ।

নয়নের বাবা জানান, রোববার রাত ১০টার দিকে অপহরণকারীরা ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা সোমবার সকালের মধ্যে দিতে হবে, নইলে নয়নকে আর ফিরিয়ে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়।

ফান্দাউক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আলমগীর শাহ বলেন, প্রকাশ্যে বাজার থেকে একজন ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা দ্রুত নয়নকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ বলছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক স্ত্রী সীমার সঙ্গে প্রেম করায় তাজকিরকে হত্যা করেন অভি: পুলিশ
  • চট্টগ্রামে শিশু অপহরণ মামলার দম্পতির যাবজ্জীবন 
  • দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে অপহরণ, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
  • খুন অপহরণে আতঙ্ক জনমনে