চার মামলায় ১৯ দিন রিমান্ডে সাবেক এমপি ছানোয়ার
Published: 17th, March 2025 GMT
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেনকে চারটি মামলায় ১৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৭ মার্চ) টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালত একটি হত্যাসহ তিনটি মামলায় ১৪ দিন এবং মির্জাপুর আমলী আদালত একটি হত্যা মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, ছানোয়ার হোসেনকে আজ দুপুরে টাঙ্গাইল সদর থানায় স্কুল ছাত্র মারুফ হত্যা মামলা এবং আরো দুইটি ভাঙচুর ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ সময় মামলাগুলোতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক গোলাম মাহবুব খান স্কুল শিক্ষার্থী মারুফ হত্যা মামলায় ও দ্রুতবিচার আইনে দায়েরকৃত মামলায় পাঁচদিন করে মোট ১০দিন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরো পড়ুন:
ময়মনসিংহে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামি রিমান্ডে
দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ পলক রিমান্ডে
পরে ছানোয়ার হোসেনকে মির্জাপুর আমলী আদালতে হাজির করা হয়। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত কলেজ ছাত্র মারুফ হত্যা মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোছাম্মৎ রুমি খাতুন পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানবীর আহম্মদ বলেন, “আজ থেকেই ছানোয়ার হোসেনকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবেন।”
ছানোয়ার হোসেন ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা মহানগরীর ভাটারা থানার পুলিশ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। ভাটারা থানায় দায়েরকৃত একটি মামলায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারপর থেকে কেরানিগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন তিনি।
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
আলাদা নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের খবরকে ‘অপপ্রচার’ বলে দাবি বেবিচকের
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) একটি আলাদা নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করছে, এমন তথ্যকে ‘অপপ্রচার ও ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে সংস্থাটি। আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।
বেবিচকের আলাদা নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করা নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এর প্রতিবাদে আজ সিভিল এভিয়েশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে একদল মানুষ। এরই মধ্যে আলাদা বাহিনী গঠনের খবর ভিত্তিহীন বলে দাবি করল বেবিচক।
বেবিচকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানসংক্রান্ত একটি সংস্থার নাম উল্লেখ করে কিছু ‘মনগড়া এবং ভিত্তিহীন’ তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর বিষয়টি বেবিচক কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। বেবিচকের যেকোনো সিদ্ধান্ত বোর্ড মিটিং এবং অন্যান্য দাপ্তরিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পর্যালোচনা সাপেক্ষে নেওয়া হয়। এ বিষয়ে কোনো প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি এবং যেকোনো সংস্থাপন বেবিচকের সবার অনুমোদন ছাড়া করা হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সংস্থায় কর্মরত একটি স্বার্থান্বেষী মহল বহিরাগত কিছু অসাধু চক্রের প্ররোচনায় মদদপুষ্ট হয়ে বেবিচকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এবং বিমানবন্দরগুলোর চলমান অগ্রগতিকে অস্থিতিশীল ও বাধাগ্রস্ত করতে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে এই সংস্থার কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বেবিচকের এভিয়েশন সিকিউরিটি বিভাগ, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও অঙ্গীভূত সাধারণ আনসার সদস্যসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনার জন্য নিরাপত্তা বিভাগের (এভসেক) ৩ হাজার ৪৯২ জনসহ সর্বমোট ৫ হাজার ১১২ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন।