ম্যানচেস্টার থেকে বিমান যোগে সিলেট, সেখান থেকে গাড়িতে হবিগঞ্জ উপজেলার বাহুবলের স্বানঘাটে গ্রামের বাড়ি এসেছেন হামজা চৌধুরী। হামজার আগমনে ঝাড়পোঁছ করে পরিপাটি করা বাড়িটি সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঢাকা। তার ঠিক বাইরে হামজাকে বরণ করার মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে।  

ওই মঞ্চে গাল ভরা হাসি নিয়ে হামজা এসেই সহজাত স্বরে বললেন, ‘আসসালাম ওয়ালাইকুম এভরিওয়ান।’ বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলার ঘোষণা দেওয়ার পর হামজাকে নিয়ে চর্চা কম হয়নি। ভক্তরা নিশ্চয় জেনে গেছেন, পশ্চিমা দেশে থাকলেও হামজা ইসলামের অনুশাসন মেনে চলেন। তার স্বভাবত সালাম তারই অংশ।

সেখানেও হামজা কথা বললেন খুব সামান্য। তার বাংলা ভাষার শব্দ সংখ্যা সীমিত। যেটুকু জানেন তাও সিলেটি। বাড়ির আঙিনা ঘেষা মঞ্চের সামনে জড়ো হওয়া হাজার খানেক ভক্তদের মাতাতে হামজা তাই স্লোগান দেওয়াই যেন ভালো মনে করলেন। 

বিমানবন্দরে তাকে নিয়ে ভক্তদের উন্মাদনা হয়েছে। সেখানে সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসলেও ভক্তদের ভিড়ে খুব একটা কথা বলতে পারেননি। হবিগঞ্জের বাড়িতেও খুব বেশি কথা তিনি বলেননি। তবে যেটুকু বলেছেন তাতে প্রাণের উচ্ছ্বাস মিশে ছিল। ভক্তদের উন্মাদনায় খুশি আর লাজুক চাহনির মিশেলে একটা হাসি দিয়ে বলেন, ‘আমার খুব ভাল লাগছে, আফনারা সবে আইছেন আমারে দেখবার লাগি। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ.

..জিন্দাবাদ।’ 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীতে বৃষ্টিতে স্বস্তি, বৃহস্পতিবার থেকে ফের তাপপ্রবাহ

চৈত্রের শুরুতে গরম বেড়েছে রাজধানীসহ সারাদেশে। রোববার থেকে দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলছে মৃদু তাপপ্রবাহ। এতে কষ্ট বেড়েছে রোজাদারের। আজ সোমবার ঢাকায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশিমক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। মৃদু তাপপ্রবাহের অস্বস্তির পর স্বস্তির বৃষ্টির দেখা পায় রাজধানী ঢাকা। আজ বিকেল ৩টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে কিছুটা হলেও গরমের আধিক্য কমেছে। সামান্য ভোগান্তি হলেও তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় স্বস্তি অনুভব করেন রাজধানীবাসী। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে আবারও দেশের কিছু এলাকায় শুরু হতে পারে তাপপ্রবাহ।

আজ দুপুরের পর থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতে শুরু করে। কিছু সময়ের মধ্যে গুমোট পরিবেশ ও বাতাস শুরু হয়। পরে নামে বৃষ্টি। হালকা বৃষ্টি হলেও কিছু সময়ের মধ্যে বিভিন্ন সড়ক ভিজে যায় এবং ঠান্ডা আবহ তৈরি হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার দেশে এ বছরের প্রথম তাপপ্রবাহ শুরু হয়। রাজশাহী, পাবনা, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ ও রাঙামাটির ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। ওই দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে কুষ্টিয়ায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, কয়েক দিন হালকা বৃষ্টি হবে। এতে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসবে। এর পর ২০ মার্চ মৃদু থেকে মাঝারি মানের তাপপ্রবাহ শুরু হতে পারে। গত বছরের তুলনায় এবার এ সময় তাপমাত্রা কম। সচরাচর এপ্রিলেই সর্বাধিক তাপমাত্রা থাকে। গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় এ বছরের এপ্রিলে তাপমাত্রা কম থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ