ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন চাই : কমিউনিস্ট পার্টি
Published: 17th, March 2025 GMT
কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় অফিস দখলের হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তার, অব্যাহত ধর্ষণ, হত্যা, মব সন্ত্রাসের হোতাদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে সোমবার বিকাল তিনটায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিসিবি, নারায়ণগঞ্জ শহর কমিটি সমাবেশ ও মিছিল করে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ শহর কমিটির সভাপতি কমরেড আঃ হাই শরীফ। বক্তব্য রাখেন, জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড হাফিজুল ইসলাম, শহর কমিটির সাধারণ সম্মাদক সুজয় রায় চৌধুরী বিকু, জেলা কমিটির নেতা জাকির হোসেন, নারী নেত্রী শাহানারা বেগম, জেলা নেতা শিশির চক্রবর্তী ও শহর কমিটির নেত্রী মৈত্রী ঘোষ প্রমূখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ঢাকায় কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় অফিস জোর করে দখলের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বাম ও প্রগতিশীল ছাত্র ও নারীদের ধর্ষণবিরোধী শান্তিপূর্ণ মিছিলে উস্কানিমূলকভাবে পুলিশী হামলা করা হয়েছে আবার আন্দোলনকারিদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে।
এতে মনে করা সাভাবিক যে, সরকার ধর্ষক ও সন্ত্রাসীদের পক্ষেই থাকছেন। কমিউনিস্ট পার্টি অফিস দখলের হুমকিদাতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
চাল, ডাল, তেলসহ সকল দ্রব্যমূল্য আগের আমল থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন নতুন ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। ২২হাজার কোটি টাকা কাগজের নোট ছাপিয়ে সরকার বাজারে ছেড়েছে এতে টাকার মূল্য আগের তুলনায় আরো কমেছে।
ঘুষ-দুর্নীতি কমেনি, হাত বদল হয়েছে কিছুটা। খুন, ধর্ষণ, লুটপাট ও চাঁদাবাজীর সাথে যুক্ত হয়েছে জনগণের বাড়ি ও সম্পদ দখলের উৎসব। শিশু ও নারীর কোন নিরাপত্তা নেই। বিশেষ করে দরিদ্র ও সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছে।
একটা নির্বাচিত সরকার ছাড়া এ পরিস্থিতির কোন উত্তোরণ সম্ভব নয়, তাই আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ কম ট র দখল র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
দুই ছাত্রীকে ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তারে আলটিমেটাম
নরসিংদীর চরআড়ালিয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর বাঘাইকান্দি গ্রামের কাজীবাড়ির মোড়ে রায়পুরা উপজেলার চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন হয়।
ধর্ষণের অভিযোগে ইমরান, রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, সাইফুল মিয়া, রমজান, কাইয়ুম ও তার দুই সহযোগীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশে এত ধর্ষণ হচ্ছে কিন্তু অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের কোনো বিচার হচ্ছে না। পুলিশ কী করে? অনতিবিলম্বে ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন তারা। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তা না হলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে। আলটিমেটাম দিয়ে তারা বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষকদের আইনের আওতায় আনা না হলে রামপুরা থানাসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন চরআড়ালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জহিরুল ইসলাম জাজু, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু মুসা, জেলা ছাত্রনেতা সাব্বির ভূঁইয়া, সাবেক চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরকার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেল ৩টার দিকে দুই বান্ধবী চরআড়ালিয়া গ্রামের কাইয়ুম ও মুন্নার সঙ্গে ঘুরতে বের হয়। তারা সারা বিকেল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে বাঘাইকান্দি এলাকা থেকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া-দাওয়া করে। পূর্ব থেকেই কাইয়ুম ও মুন্না তাদের বন্ধুদের পূর্ব বাঘাইকান্দি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থাকতে বলে। সে অনুযায়ী অন্য বন্ধুরা স্কুলের সামনে অপেক্ষা করতে থাকে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে অটোরিকশাযোগে তাদের নিয়ে পূর্ব বাঘাইকান্দি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে যায় কাইয়ুম ও মুন্না। সেখানে যাওয়ার পর এক ছাত্রীকে জোর করে স্কুলের পাশে নিক্সন মেম্বারের বাড়ির ছাদে নিয়ে যায় ইসরাফিল, সাইখুল, রমজান ও কাইয়ুম এবং অপর ছাত্রীকে মুন্না, ইমরান, রাজ্জাক, আব্দুর রহমান নদীর পারে নিয়ে যায়। সেখানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় অভিযুক্তরা। এ সময় ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী চিৎকার দিতে চাইলে ইট হাতে নিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার হুমকি দেয়। পরে দুই ছাত্রী বাড়ি ফিরে গেলে অবস্থা দেখে স্বজনরা জানতে চাইলে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় রায়পুরা থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে দুটি মামলা করা হয়েছে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।