সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত ‘হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম' এর আওতায় দুস্থ ও অসহায় রোগীদের কল্যাণে যাকাত, দান-অনুদান সংগ্রহ কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

তারই অংশ হিসেবে সোমবার বিকেলে উদ্বোধন করা হয়েছে ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ এর মাধ্যমে যাকাত, দান-অনুদান প্রদান কার্যক্রম।

এখন থেকে আগ্রহী যে কেউ ঘরে বসে দুস্থ ও অসহায় রোগীদের চিকিৎসা সহায়তার জন্য বিকাশ ডোনেশন অপশন থেকে অথবা পেমেন্ট অপশনে যেয়ে বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর ০১৩২৪১৫৫০৪৭ এর মাধ্যমে যাকাত, দান-অনুদান প্রদান করতে পারবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.

সাইদুর রহমান খান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খান বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর ৬৪টি জেলায় ১১৮টি হাসপাতাল ও ৪২০টি উপজেলাসহ মোট ৫৩৮টি ইউনিটে হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব হাসপাতালের মাধ্যমে প্রতি বছর সাড়ে ৭ লাখের অধিক দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত প্রায় ৩ হাজার জন ছাত্র-জনতাকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (চিকিৎসা) লামিয়া ইয়াসমিন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শাহেদ পারভেজ, অতিরিক্ত পরিচালক (কার্যক্রম) সাজ্জাদুল ইসলাম, বিকাশের ভাইস প্রেসিডেন্ট নভেরা আয়েশা জামান।

অনুষ্ঠানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ ন অন দ ন অন ষ ঠ ন পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো গণতান্ত্রিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায় ইসি

নির্বাচন কমিশন (ইসি) আর অতীতে হাঁটতে চায় না। তারা সামনে এগোতে চায়, ভালো গণতান্ত্রিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায়। আজ সোমবার নির্বাচন ভবনে ঢাকায় নিযুক্ত ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাভুক্ত (ওআইসি) ১০টি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ মন্তব্য করেন।

বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করা হচ্ছে, মতবিনিময় হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ওআইসিভুক্ত দেশের মিশনপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

ইসির বর্তমান কার্যক্রম, গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে, সেসব তাদের অবহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা আশা করা হয়েছে বলে জানান ইসি আবুল ফজল।

এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘তিন ধরনের মেথডে (পদ্ধতি) আমরা কোনোটাকেই প্রায়োরিটিতে (অগ্রাধিকার) আনিনি। তিনটি মেথডকে (অনলাইন, পোস্টাল ব্যালট ও প্রক্সি ভোটিং) শর্ট লিস্ট করেছি।’

এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মিসর ও পাকিস্তান নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, মিসরের রাষ্ট্রদূত জানালেন তাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়, তারা চালু করে অনলাইন ভোট বন্ধ করে দিয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিনিধি বলেছেন, তাদের প্রাথমিক অভিজ্ঞতা ভালো, পূর্ণাঙ্গভাবে অনলাইনে চালুর অবস্থানে নেই তারা।

এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে শারীরিক প্রতিবন্ধীরা আরেজনের সহায়তা নিয়ে ভোট দিয়ে থাকেন। জমিজমাও পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। আমাদের এখন মন্দের ভালো খুঁজে বের করতে হবে। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে চাই তাহলে কোনো না কোনো একটা অপশন বা সব অপশনের কম্বিনেশন আমাদের নিতে হবে।’

আরও ব্যাখ্যা দিয়ে আবুল ফজল বলেন, ‘আর বড় পরিসরে আমাদের প্রবাসীদের ভোট দেওয়াতে চাই তাহলে প্রক্সি ভোটিং ছাড়া আর কোনো বিকল্প আছে বলে মনে হয় না। কারণ, বাকি যে দুটো বিকল্প রয়েছে, এগুলো পাইলটিং পর্যায়ে যাওয়া যাবে, লার্জ স্কেলে ডেপ্লয় হয়তো করা যাবে না।’

আগামী এপ্রিলের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করার পর চূড়ান্ত পদ্ধতি নিয়ে ইসি সিদ্ধান্ত জানাবে বলেন আবুল ফজল।

এই বৈঠকে আলজেরিয়া, ব্রুনেই, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মরক্কো, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভালো গণতান্ত্রিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায় ইসি