‘আফনারা সবাই আসছেন আমারে দেখবার লাগি, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’: নিজের বাড়িতে সংবর্ধনা মঞ্চে হামজা
Published: 17th, March 2025 GMT
দুপুরে সিলেট থেকে রওনা হয়ে বিকেলে গ্রামের বাড়িতে এসেছেন হামজা চৌধুরী। হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্বানঘাটের চৌধুরী বাড়িতে নেমেছে বিশাল উৎসবের ঢেউ। গ্রামের মানুষ, আত্মীয়স্বজন, সংবাদমাধ্যম মিলিয়ে বাড়িটা যেন গিজগিজ করছে। অনেকটা যেন বিয়ে বাড়ির ধুম।
আরও পড়ুনসিলেটে পৌঁছে হামজা বললেন, ‘ইনশা আল্লাহ আমরা উইন খরমু’৪ ঘণ্টা আগেবাড়ির সীমানা প্রাচীরের অন্যপাশে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। তাতে তিল পড়ার জায়গা নেই। সামনে শত শত উৎসুক জনতা। একটা সময় হামজা মঞ্চে এলেন। ঝাঁকড়া চুলের মাথায় গাঁদা ফুল। মাথা অনেকটা হলুদ রং নিয়েছে। গায়ে টি শার্ট। হামজাকে দেখতে উৎফুল্ল লাগছিল। মুখে হাসি। এত ভিড় সম্ভবত তিনি উপভোগ করছিলেন।
হামজার গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে নির্মাণ করা তোরণ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা
রাজধানীর জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় অংশ নেন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী, খাদ্য অধিদপ্তর ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাসহ মোট ২৫ জন।
এ সময় প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে আবশ্যকীয় তথ্যসমূহ তুলে ধরা হয়।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের (নিমকো) মহাপরিচালক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড. মিজানুর রহমান। এ সময় আলোচনায় আরও অংশ নেন নিমকোর পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মারুফ নাওয়াজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রকল্প উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন উপপরিচালক সুমনা পারভীন।
প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মারুফ নাওয়াজ তার বক্তব্যে বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে আমাদের তিন স্তরে সংকট রয়েছে। উৎপাদন, প্রস্তুতকরণ ও ভোগ। সমস্যাগুলো ম্যান-মেইড (মনুষ্যসৃষ্ট)। ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এসব থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকরা বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন। এগুলো নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করা যেতে পারে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের দুরারোগ্য ব্যধিতে আমরা আক্রান্ত হচ্ছি। এগুলোর অন্যতম কারণ ভেজাল খাবার ও অনিরাপদ খাদ্যাভ্যাস। ফলে খাদ্যাভ্যাসেও আমাদের পরিবর্তন আনতে হবে।
প্রধান আলোচক ড. মিজানুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টি দুইভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। একটি হলো খাদ্যের নিরাপত্তা, অপরটি নিরাপদতা। নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিক হলেও ব্যক্তি পর্যায়ে নিরাপদতা নিয়ে আমরা কাজ করতে পারি। সেক্ষেত্রে খাদ্যের উৎপাদন, প্রস্তুতকরণ ও ভোগের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। উৎপাদনের ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় সার-কীটনাশক ব্যবহার পরিহার; প্রস্তুতের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত রাখা এবং ভোগ ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও নিমকোর মহাপরিচালক মো. কাউসার আহাম্মদ বলেন, আজকে অত্যন্ত জন-গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আশাকরি এখান থেকে আমরা যা শিখেছি তা আমাদের ব্যক্তিজীবন ও সমাজে কাজে লাগবে। আমরা আমাদের পরিচিতজনদের মধ্যে যদি এগুলো শেয়ার করি তাহলে সচেতনতার মাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং সবাই উপকৃত হতে পারবে। এ সময় তিনি কর্মশালার আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান।