ডেনিশ শরণার্থী কাউন্সিল জানিয়েছে, আগামী বছরের শেষ নাগাদ বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬৭ লাখ অতিরিক্ত মানুষ নতুন করে বাস্তুচ্যুত হবে।

শরণার্থী সংস্থাটি গত বছর জানিয়েছিল, বিশ্বজুড়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এক কোটি ১৭ লাখেরও বেশি এবং সতর্ক করে দিয়েছিল যে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

ডেনিশ শরণার্থী কাউন্সিলের মহাসচিব শার্লট স্লেন্তে এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এগুলো মোটেও শীতল পরিসংখ্যান নয়। এগুলো এমন পরিবার যাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছে, তাদের কাছে কিছুই নেই, তারা পানি, খাবার এবং আশ্রয়ের খোঁজ করছে।”

বিশ্বব্যাপী প্রায় পুরো বাস্তুচ্যুতির জন্য ২৭টি দেশ দায়ী। এই প্রক্ষেপণটি একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত মডেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এখানে ১০০ টিরও বেশি সূচক বিশ্লেষণ করে স্থানচ্যুতির প্রবণতা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সেই দেশগুলোর নিরাপত্তা, রাজনীতি এবং অর্থনীতির মতো বিষয়গুলো।

মডেলটি পূর্বাভাস দিয়েছে যে, নতুন বাস্তুচ্যুতির প্রায় এক তৃতীয়াংশ সুদান থেকে আসবে, যা প্রায় দুই বছরের যুদ্ধের পর ইতিমধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ শরণার্থী সংকটের অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার থেকে আরো ১৪ লাখ মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অথচ এই পরিস্থিতিতে বিদেশি দেশগুলোতে ত্রাণ সহায়তা কমাতে শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শার্লট স্লেন্তে এর সমালোচনা করে বলেছেন, “ লাখ লাখ মানুষ অনাহার এবং বাস্তুচ্যুতির মুখোমুখি হচ্ছে, এবং ঠিক যেমন তাদের আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তেমনি ধনী দেশগুলোও সাহায্য কমিয়ে দিচ্ছে। এটি সবচেয়ে দুর্বলদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শরণ র থ

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটে গ্রাফিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতিতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে ‘শোকের গ্রাফিতি এক দফার ডাক’ শিরোনামে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসজুড়ে নানা ধরনের গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন করা হয়। গ্রাফিতিতে ‘বাহ ভিসি চমৎকার সন্ত্রাসীদের পাহারাদার’, ‘এখানে সমস্ত ক্ষমতাধর নিজেরে ভাবিছে ঈশ্বর’, ‘এক দফা এক দাবি ভিসি মাসুদের পদত্যাগ’, ‘ভিসি গদি ছাড়’—এসব স্লোগান লিখতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী গালিব রাহাত বলেন, ‘‘আমাদের ভেতর যে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে, সেটা এভাবে সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই। আমাদের অভিভাবক প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে বলতে চাই, আমরা ভালো নেই; কুয়েটের ছাত্ররা ভাল নেই। এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা পিছু সরব না।’’

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে বহিরাগত ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কুয়েট ভিসি, প্রো ভিসি, ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসের একাডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কুয়েট কর্তৃপক্ষ।

গত ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা জোর করে ক্যাম্পাসের প্রবেশে করে হল খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ১৫ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ ছাত্রকে বহিষ্কার এবং আগামী ২ মে হল খুলে দেওয়া ও ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর  সিদ্ধান্ত দেয় সিন্ডিকেট সভা। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে গত ১৬ এপ্রিল ছয়টি আবাসিক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ছাত্ররা।

অপরদিকে, শিক্ষার্থীদের উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ