পরিবেশবান্ধব অর্থায়নের ২০% নারী উদ্যোক্তাদের দিতে হবে
Published: 17th, March 2025 GMT
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের পরিবেশবান্ধব অর্থায়নের ২০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের ও ২৫ শতাংশ কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (সিএমএসএমই) খাতে ঋণ দিতে হবে। আবার সিএমএসএমই ঋণের ১৫ শতাংশও নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করে এমন নির্দেশনা দিয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের ৫ শতাংশ পরিবেশবান্ধব খাতে অর্থায়নের নির্দেশনা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও টেকসই শিল্পায়নে সিএমএসএমই খাতের পাশাপাশি নারী উদ্যোগ খাতের অবদান অনস্বীকার্য। সরকার কর্তৃক ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে সিএমএসএমই খাতের পাশাপাশি অর্থনীতিতে নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গবৈষম্য রোধ এবং নারীদের অংশগ্রহণকল্পে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও সিএমএসএমই এবং নারী উদ্যোগ খাতে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় অর্থায়ন হচ্ছে না। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে এসব খাতে অর্থায়ন বাড়ানোর লক্ষ্যে ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর (আর্থিক প্রতিষ্ঠান) ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
এ জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে, সিএমএসএমই এবং নারী উদ্যোগ খাতে অর্থায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব অর্থায়নের মধ্যে ২৫ শতাংশ সিএমএসএমই খাতে ও ২০ শতাংশ নারী উদ্যোগ খাতে বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। সিএমএসএমই খাতের ঋণের মধ্যে ১৫ শতাংশ নারী উদ্যোগ খাতে দিতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ক্লাস শুরু ৪ মে
সংঘর্ষের জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার রাতে কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া সভায় শিক্ষার্থীদের জন্য ২ মে হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে ৪ মে।
কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ জানান, সোমবার রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ১৯ ফেব্রুয়ারি গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানো নির্দেশ দেওয়া হয়।
তিনি জানান, সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে থেকে শুরু এবং সকল আবাসিক হল ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে এতে সন্তুষ্ট হয়নি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের: তবে হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা ৩টা থেকে তারা সেখানে অবস্থান করছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের দাবি ছিল আজ সোমবার রাত থেকেই হল খুলে দেওয়ার। এছাড়া সিন্ডিকেট সভা শেষে তারা অপেক্ষা করছিলেন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো তাদের জানাবে। কিন্তু কেউ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তগুলো জানাননি। হল খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনেক দিন দেরি রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া হলে থাকতে না পারায় তাদের টিউশনি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।