জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের স্থায়ী ঠিকানা ও ক্লাসরুম সংকট নিরসনের জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রশাসনিক ভবনের সামনে ইনস্টিটিউটটির শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় তারা ‘আর নয় বাহানা দিতে হবে ঠিকানা’, ‘দিতে হবে দিতে হবে স্থায়ী ভবন দিতে হবে’, ‘ভবন চাই ভবন চাই দিতে হবে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

আরো পড়ুন:

জাবিতে শিবিরের ইফতারে শিক্ষার্থীদের ঢল

হলে হলে জাবি ছাত্রদলের ইফতার

বিকেল ৫টার দিকেও শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যেতে দেখা গেছে। কর্মসূচির এক পর্যায়ে এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসে তাকে সেখানে রেখে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।

তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৪৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থী লুবাইনা ফাইয়াজ বলেন, “আমাদের ইনস্টিউটের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়কাল থেকে খুব গুরুতর একটা সমস্যায় আমরা ভুগছি, সেটা হচ্ছে আমাদের ক্লাসরুম সংকট। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে আমাদের প্রায় পুরো মাসই ক্লাস না করে হলে দিন কাটাতে হয়েছে এ সংকটের কারণে।”

তিনি বলেন, “আমাদের ওয়াশরুমসহ পারিপার্শ্বিক নানা বিষয়ে অন্য বিভাগে গিয়ে কার্যসম্পাদন করতে হয়। এ রকম একটি সংকটময় পরিস্থিতিতে আমরা শিক্ষার্থীরা খুব দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমাদের স্থায়ী ভবন দাবি করছি। আশা রাখছি, জাবি প্রশাসন আমাদের এ ন্যায্য দাবিতে পাশে থাকবেন।”

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে একই বিভাবগের ৪৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের চাওয়া ক্লাসরুম সংকট নিরসন। সাতটি ব্যাচ চলে আসার পর কোনো একটি ব্যাচের পরীক্ষা শুরু হলে ক্লাস করা দুরূহ হয়ে যায়। ইনস্টিটিউট হিসেবে আমাদের যে অধিকার, সেটা আমরা চাই। আমরা আশা করি, বর্তমান প্রশাসন একটি স্বয়ং সম্পুর্ণ ভবনের ব্যবস্থা করে দিবেন এবং যতদিন আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হবে, শিক্ষার্থীরা তাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।”

তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট ছাত্র সংসদের ভিপি সোহেল রানা বলেন, “তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের দীর্ঘদিনের ক্লাসরুম সংকট এবং স্থায়ী ঠিকানার দাবিতে আমাদের এ অবস্থান কর্মসূচি। আমরা ইতোপূর্বে উপাচার্য স্যারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি এবং গতকালও স্যারকে অবহিত করেছি, যাতে আজকের সিন্ডিকেট মিটিং থেকে আমাদের ক্লাসরুম সংকটের বিষয়ে একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।”

তিনি বলেন, “আমরা চাই অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে যে নতুন একাডেমিক ভবন করা হচ্ছে, সেখানে তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের জন্য স্থায়ী ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করা হোক। সেটা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করা হোক।”

এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম রাশেদুল আলম আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমরা তোমাদের দাবিতে একমত পোষণ করছি। আমরা দ্রুততম সময়ে এ বিষয় নিয়ে আলোচনাপূর্বক সিদ্ধান্ত নেব।”

২০১৭ সালে তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট নামে চালু হওয়া এ ইনস্টিটিউটের বয়স ৮ বছর হয়ে গেছে। কিন্তু ক্লাসরুম সংকট কাটেনি। বর্তমানে সাতটি ব্যাচ আছে এ ইনস্টিটিউটে।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিব ‘মেগাস্টার’, আমি ওই পর্যায়ে যাইনি: বললেন হামজা

বিমানবন্দর থেকে হবিগঞ্জের বাড়ি—যখন যেদিকে যাচ্ছেন হামজা চৌধুরী, টের পাচ্ছেন তাঁকে ঘিরে উন্মাদনা। হাজারো মানুষ ভিড় করছেন তাঁর বাড়ির সামনে। তাঁকে বরণ করে নিতে ছিল ফুলের তোড়া, ফ্লেয়ার ও পতাকা। বাংলাদেশে পা রেখেই ক্রীড়াঙ্গন সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন হামজা।  

আরও পড়ুন‘আফনারা সবাই আসছেন আমারে দেখবার লাগি, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’: নিজের বাড়িতে সংবর্ধনা মঞ্চে হামজা১ ঘণ্টা আগে

হামজাই কি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় তারকা? গত কয়েক দিন ধরে এই আলোচনাও আছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তাঁর তুলনাটা হচ্ছে মূলত ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। দুজনের মধ্যে কার বেশি খ্যাতি, এ নিয়ে যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা তুঙ্গে—তখন প্রশ্নটা পৌঁছে গেছে হামজার কাছেও।

হবিগঞ্জে নিজ বাড়িতে বাবার সঙ্গে হামজা

সম্পর্কিত নিবন্ধ