কুষ্টিয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে হামলা করা হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।

আহতরা হলেন, এনসিপির সুলতান মারুফ তালহা, মুজাহিদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম জহির, সদস্য সচিব রেদোয়ান আফ্রিদি, কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আহ্বায়ক জুবায়ের, ইব্রাহীম, নয়ন হোসেন প্রমুখ। তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রাতে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে এনসিপি ও কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতাকর্মীরা বলেন, ‘‘রাত ৮টার দিকে আয়াস, আকাশ, রাসেলসহ তাদের লোকজন এ হামলা করেছে। এতে ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’’ এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক সায়াদ ইসলাম শ্রেষ্ঠ, হুমাইরা কবির সাদিয়া, মুখ্য সংগঠক এম ডি বেলাল হোসেন বাঁধনসহ নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসক হাফিজুর রহমান বলেন, আহতরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের চিকিৎসা সেবা চলছে। 

এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন ত কর ম র রহম ন এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

গফরগাঁওয়ে বিএনপির দু’গ্রুপে সংর্ঘষ, ৫ জনকে কুপিয়ে জখম

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ‍্যে আধিপত্য বিস্তার ও মার্কেট দখলকে কেন্দ্র করে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ জনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় পাগলা থানা এলাকার কান্দিপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন- পাগলা থানা কৃষক দলের সাবেক আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সুজন (৪৮), তার ছেলে উস্থি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এম. রহমান সফল (২৭), স্থানীয় ছাত্রদল নেতা জোবায়েত হোসেন স্বপ্নিল (২৫) এবং প্রতিপক্ষের কবীর হোসেনসহ (৫০) অজ্ঞাত আরও একজন।  

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম। তিনি বলেন, আহত পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ‍্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ‍্যে আসাদুজ্জামান সুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাগলা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আকতারুজ্জামান বাচ্চু জানান, বিএনপি থেকে বহিস্কৃত কবিরের নেতৃত্ব একটি চক্র এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছিল। স্থানীয় বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান সুজন তাদের এসব কাজে বাঁধা দেওয়ায় এই হামলা চালানো হয়। অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি করছি। 

ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম আজ শুক্রবার সমকালকে বলেন, গফরগাঁওয়ে বিএনপির ৫টি গ্রুপ রয়েছে। প্রত্যেকটি গ্রুপ তাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য বিভিন্নভাবে আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করে। তবে এসব হামলা ও সংঘর্ষের কারণ শুধুই ব্যক্তিকেন্দ্রিক। দল কখনো এর দায়ভার নিবে না। হামলাকারীদের মধ্যে একজনকে আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় গফরগাঁও উপজেলা বিএনপির কমিটি বাতিল করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, গতকালের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হবে। এ ঘটনায় জড়িতদেরকে সাংগঠনিক শাস্তির পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা দোষী, তাদেরকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করতে হবে। 

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ‍্যে মারপিট হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশে তিনটি বড় হাসপাতাল করতে চায় চীন: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
  • গফরগাঁওয়ে বিএনপির দু’গ্রুপে সংর্ঘষ, ৫ জনকে কুপিয়ে জখম