বরগুনায় ওরস চলাকালে মাজারে আগুন-হামলা
Published: 17th, March 2025 GMT
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা বরগুনায় একটি মাজারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। বরগুনার আমতলী উপজেলার ইসমাইল শাহ মাজারে রোববার রাতে হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম।
এ সময় সেখানে বার্ষিক ওরস(ধর্মীয় অনুষ্ঠান) চলছিল।
ইউএনও বলেন, মাজারে 'অসামাজিক কার্যকলাপ' হয়, এমন অভিযোগে আগে থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন 'স্থানীয়রা'। মাদক সংক্রান্ত অভিযোগ ছিল, রমজানের মধ্যেও গভীর রাত পর্যন্ত গান-বাজনা করা নিয়েও স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ ছিলেন। রোববার সেসব নিয়ে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি টিনের চাল পুড়তেছে। সব পক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি।
ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান ইউএনও। তিনি বলেন, দুই থেকে তিনজন আহত হওয়ার কথা জেনেছি।
তবে মাজারের খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া, ঘটনার সঙ্গে একটি ধর্মভিত্তিক দলের স্থানীয় নেতাদের জড়িত থাকার অভিযোগও করা হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
নববর্ষে পুকুরে ১০ হাঁস ধরতে নামে ৪০ প্রতিযোগী
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে মানুষ ভিন্ন আয়োজনে মেতে ওঠে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পুকুরের পানিতে সাঁতরে হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা উৎসবমুখর ছিল। এ প্রতিযোগিতা দেখতে পকুরের চারপাশে উৎসুক মানুষ ভিড় জমায়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলা পরিষদ পুকুরে এ আয়োজন করা হয়। ১০টি হাঁস ধরতে নামে ৪০ জন প্রতিযোগী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান খান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহেদ আরমান ও রায়পুর আর্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক শংকর মজুমদার প্রমুখ।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা পুকুরের দক্ষিণ পাশে ছিল। উত্তর পাশ থেকে হাঁসগুলো পুকুরের পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রতিযোগীরা সাঁতরে এসে হাঁসগুলো ধরতে চেষ্টা করেন। অনেক চেষ্টার পর ১০ জন প্রতিযোগী ১০টি হাঁস ধরতে সক্ষম হন।
আরো পড়ুন:
কারাবন্দিদের অন্যরকম বর্ষবরণ
বৈশাখে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস
রায়পুর আর্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক শংকর মজুমদার বলেন, ‘‘পহেলা বৈশাখ বাংলা ভাষীদের জন্য ঐতিহাসিক দিন। এটি বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। যুগ যুগ ধরে আমরা এই ঐতিহ্য ধারণ করে আসছি। সেই আলোকে নানা আয়োজন করা হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ ঐতিহ্য হাঁস খেলার আয়োজন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ আয়োজনে মানুষ আনন্দ পেয়েছে।’’
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান খান জানান, নববর্ষ উপলক্ষে শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এরপর উপজেলা পুকুরে হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা হয়। এতে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরতে এ আয়োজন করা হয়।
ঢাকা/লিটন/বকুল