রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে আরএসও সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা, একজন গ্রেপ্তার
Published: 17th, March 2025 GMT
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উখিয়ার হাকিমপাড়া আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১৪) ই-৩ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. হারুন (৩২)। তিনি হাকিমপাড়া আশ্রয়শিবিরের ই-৩ ব্লকের বাসিন্দা। হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম বাদশাহ মিয়া। তিনিও আশ্রয়শিবিরটির একই ব্লকে বসবাস করেন।
পুলিশ ও রোহিঙ্গাদের নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, নিহত হারুন মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সদস্য ছিলেন। হামলাকারীরা আরেক সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্য।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন রোহিঙ্গা নেতা প্রথম আলোকে বলেন, হারুন আগে আরসা ছেড়ে কয়েক মাস আগে আরএসওতে যোগ দেন। এর জেরে তাঁকে পিটিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
বাউফলে তরমুজের ট্রলারে ডাকাতির সময় পিটুনিতে একজন নিহত, আহত ৩
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে তরমুজভর্তি ট্রলারে ডাকাতির সময় স্থানীয় লোকজনের পিটুনিতে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার ভোররাতে উপজেলার ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ডাকাতদের হামলায় ট্রলারের তিন ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হলেন জেলার গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের কপালবেরা গ্রামের তরমুজচাষি মো. শহিদুল ইসলাম (৫৮), ডাকুয়া গ্রামের নুর ইসলাম সরদারের ছেলে মো. মেহেদী হাসান (৩৪) ও ট্রলারের চালক মো. সেলিম মাঝি (৫৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে গলাচিপার চরকাজল থেকে শহিদুল ইসলাম ১০ হাজার তরমুজ নিয়ে চাঁদপুরে যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে তেঁতুলিয়া নদীর বাউফলের তালতলী মোহনা এলাকায় পৌঁছালে সাত-আটজনের সশস্ত্র একটি ডাকাত দল একটি ট্রলার নিয়ে তরমুজভর্তি ট্রলারটিকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে তাঁরা তরমুজের ট্রলারের নিয়ন্ত্রণ নেন। এ সময় ডাকাতেরা ট্রলারের চালকসহ ট্রলারে থাকা তিনজনকে কুপিয়ে আহত করেন। তাঁরা এক ডাকাতকে জাপটে ধরে চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন। অন্য ডাকাতেরা পালিয়ে গেলেও একজনকে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দেন। খবর পেয়ে ভোর পাঁচটার দিকে গুরুতর আহত ডাকাতসহ ট্রলারের লোকজনকে উদ্ধার করে পুলিশ।
গুরুতর আহত ডাকাতকে প্রথমে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার বেলা দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তের স্বার্থে নিহত ডাকাতের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।