তিন থেকে চার ঘণ্টার বিমানযাত্রা শেষে এয়ারপোর্টে পা রাখার পর অনেকেরই মাথা ঘুরে থাকে। কারও আবার চোখের দৃষ্টি কিছুটা ঘোলা হয়ে যায়। তাহলে ভাবুন তো, যেসব নভোচারী দীর্ঘদিন মহাকাশে অবস্থান শেষে পৃথিবীতে ফিরে আসেন, তাঁদের অবস্থা কেমন হয়। চোখ ফুলে যাওয়া, শিশুর মতো ত্বক নরম হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নানা ধরনের মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হন তাঁরা। পৃথিবীতে ফিরে আসার পর নভোচারীদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা কেমন হয়, তা জেনে নেওয়া যাক।

বিভিন্ন গবেষণার তথ্যমতে, মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণের অভাবে নভোচারীদের হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। এর ফলে নভোচারীদের বাহু, পা ও কোমরের হাড়সহ হৃৎপিণ্ডের পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মহাকাশে থাকার সময় মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিরুদ্ধে হৃৎপিণ্ডকে রক্ত পাম্প করতে হয় না, আর তাই রক্তের পরিমাণ সংকুচিত হয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমাটও বেঁধে যায়।

আরও পড়ুনমহাকাশ স্টেশনে থাকলে নভোচারীদের শরীরে যেসব প্রভাব পড়ে১৭ নভেম্বর ২০২৪

পৃথিবীতে ফিরে আসার পর নভোচারীদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হওয়ার বিষয়ে সুইনবার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী অ্যালান ডাফি বলেন, নভোচারীদের মাথায় তরল জমা হয়, তাই তাঁদের অবিরাম ঠান্ডা লেগে থাকে। ঘ্রাণশক্তিও হ্রাস পায়। মহাকাশ থেকে ফিরে আসার পর নভোচারীদের হাঁটতে কষ্ট হওয়ার পাশাপাশি মাথা ঘোরানো ও দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে। চারপাশে তরল জমা হওয়ায় তাঁদের চোখের বলের আকারেও পরিবর্তন হয়।

আরও পড়ুনমহাকাশ থেকে সুনিতাদের ফেরার পথ খুলল১৫ মার্চ ২০২৫

মহাকাশে অবস্থান শেষে যখন নভোচারীরা পৃথিবীতে ফিরে আসেন, তখন তাঁদের অনেককে দেখে কোমা থেকে ফিরে আসছেন বলে মনে হয়। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ ব্র্যাড টাকার বলেন, তখনকার অবস্থা খুবই ক্লান্তিকর। ফিরে আসার পর নভোচারীদের মধ্যে মানসিক চাপ দেখা যায়।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র: রাশিয়া থেকে আসছে ৫০ টন ক্ষমতার ক্রেন

রাশিয়ার নাভাসিবিয়েরস্ক সমুদ্র বন্দরে শিপমেন্টের জন্য পৌঁছেছে ৫০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন ব্রীজ ক্রেন। এই ক্রেনটি পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের লোডিং ও আনলোডিং কার্যক্রমে ব্যবহৃত হবে। এছাড়াও আরো ১৬ টন ও ৩২ টন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ক্রেনও একইসঙ্গে শিপমেন্ট করা হচ্ছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রসাটমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করছে রাশিয়া।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রসাটম প্রকৌশল শাখা এবং ভিপিও যায়েস এর বিশেষজ্ঞরা শিপমেন্টের পূর্বে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এগুলোর সার্বিক মান এবং নিরাপত্তা মান নিরীক্ষণ করেছেন।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ১ লাখ টাকা জরিমানা

আমিনবাজার পাওয়ার গ্রিডে অগ্নিকাণ্ড, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গোটা এলাকা

রসাটমের বিদ্যুৎ শক্তি শাখার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এতমএনার্গোরিমন্ট উপমহাপরিচালক ভ্লাদিমির পাপো বলেন, ‘‘আমরা উচ্চমান এবং নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রূপপুর প্রকল্পের জন্য ইকুইপমেন্ট সরবরাহের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্রকল্পগুলোতে জটিল কার্য সম্পাদনে আমাদের সক্ষমতারই পরিচয় বহন করে।’’

পাবনার রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রকল্পটিতে প্রতিটি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি পাওয়ার ইউনিট থাকছে।

ঢাকা/শাহীন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ