মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সেই শিশুর পরিবারের জন্য বিশেষ ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন তিনি।

সোমবার সকালে তার পাঠানো উপহারটি পরিবারের হাতে তুলে দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হালিমা আরলি।

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের নেতা রবিউল ইসলাম নয়ন, মাগুরা জেলা বিএনপির নেতা আলমগীর হোসেনসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারেক রহমানের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল নতুন পোশাক, খাদ্য ও ঈদসামগ্রী।

সম্প্রতি মাগুরায় ৮ বছরের ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যায় শিশুটি। শিশুটির ওপর ঘটে যাওয়া নির্মম ঘটনার পর তা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হালিমা আরলি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ধর্ষণের ঘটনায় নিহত শিশুটির পরিবারের পাশে আছেন। সবসময় তিনি খোঁজখবর রাখছেন। পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন তিনি। শুধু আছিয়া নয় সারা বাংলাদেশে নারী নির্যাতনে ভিকটিমরা যেন আইনি সহায়তা পায় সেজন্যে সেল করে দিয়েছেন। নারীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

হালিমা আরলি বলেন, তিনি (তারেক রহমান) খোঁজ রেখেছেন আছিয়ার মা তিনদিন একটা পোষাক পরে রয়েছেন। তা দেখে তিনি মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের মাধ্যমে ঈদ উপহার পৌঁছে দিয়েছেন। একটু হলেও ভালো কাটতে পারে তাদের ঈদ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন ব এনপ ত র ক রহম ন পর ব র র র পর ব র ব এনপ র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে পাহাড়ি এলাকায় দিনমজুর অপহৃত

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি এলাকায় লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়েছেন এক দিনমজুর। 

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবনিয়া এলাকায় তাকে অপহরণ করা হয়। এ সময় দুজন দিনমজুর অপহরণকারীদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। অপহৃত দেলোয়ার হোসেন (২৫) মারিশবনিয়া মৃত আব্দুল মালেক মিস্ত্রির ছেলে।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ ফরিদ উল্লাহ জানিয়েছেন, সকালে তিন জন দিনমজুর লাকড়ি আনতে পাহাড়ে গেলে একদল অপহরণকারী তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় এক জনকে অপহরণ করা হয় এবং বাকি দুই জন দৌড়ে পালিয়ে আসে।

তিনি বলেন, “এ ঘটনা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ভুক্তভোগীর পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবগত করেছি।”

মোহাম্মদ ফরিদ উল্লাহ জানান, মারিশবনিয়া পাহাড়-সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় এখানে প্রায়ই অপহরণ হয়। তাই, পাহাড়ি এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বক্ষণিক টহল নিশ্চিত করা জরুরি।

ঢাকা/তারেকুর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ