ভালো গণতান্ত্রিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায় ইসি
Published: 17th, March 2025 GMT
নির্বাচন কমিশন (ইসি) আর অতীতে হাঁটতে চায় না। তারা সামনে এগোতে চায়, ভালো গণতান্ত্রিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায়। আজ সোমবার নির্বাচন ভবনে ঢাকায় নিযুক্ত ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাভুক্ত (ওআইসি) ১০টি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ মন্তব্য করেন।
বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো.
ইসির বর্তমান কার্যক্রম, গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে, সেসব তাদের অবহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা আশা করা হয়েছে বলে জানান ইসি আবুল ফজল।
এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘তিন ধরনের মেথডে (পদ্ধতি) আমরা কোনোটাকেই প্রায়োরিটিতে (অগ্রাধিকার) আনিনি। তিনটি মেথডকে (অনলাইন, পোস্টাল ব্যালট ও প্রক্সি ভোটিং) শর্ট লিস্ট করেছি।’
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মিসর ও পাকিস্তান নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, মিসরের রাষ্ট্রদূত জানালেন তাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়, তারা চালু করে অনলাইন ভোট বন্ধ করে দিয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিনিধি বলেছেন, তাদের প্রাথমিক অভিজ্ঞতা ভালো, পূর্ণাঙ্গভাবে অনলাইনে চালুর অবস্থানে নেই তারা।
এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে শারীরিক প্রতিবন্ধীরা আরেজনের সহায়তা নিয়ে ভোট দিয়ে থাকেন। জমিজমাও পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। আমাদের এখন মন্দের ভালো খুঁজে বের করতে হবে। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে চাই তাহলে কোনো না কোনো একটা অপশন বা সব অপশনের কম্বিনেশন আমাদের নিতে হবে।’
আরও ব্যাখ্যা দিয়ে আবুল ফজল বলেন, ‘আর বড় পরিসরে আমাদের প্রবাসীদের ভোট দেওয়াতে চাই তাহলে প্রক্সি ভোটিং ছাড়া আর কোনো বিকল্প আছে বলে মনে হয় না। কারণ, বাকি যে দুটো বিকল্প রয়েছে, এগুলো পাইলটিং পর্যায়ে যাওয়া যাবে, লার্জ স্কেলে ডেপ্লয় হয়তো করা যাবে না।’
আগামী এপ্রিলের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করার পর চূড়ান্ত পদ্ধতি নিয়ে ইসি সিদ্ধান্ত জানাবে বলেন আবুল ফজল।
এই বৈঠকে আলজেরিয়া, ব্রুনেই, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মরক্কো, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
অনেক ক্ষতচিহ্নের দাগ থাকে না: প্রিয়াঙ্কা
ভারতীয় বাংলা সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার। তার অভিনীত নতুন ওয়েব সিরিজ ‘লজ্জা টু’। কয়েক দিন আগে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে। প্রথম পার্টের মতো দ্বিতীয় সিজনেও জয়া চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রিয়াঙ্কা। জয়া নামে একজন নারীর একা থাকার সংগ্রাম দেখা যাবে সিরিজটিতে।
এ সিরিজের মুক্তি উপলক্ষে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা সরকার। এ আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয়, শারীরিক নির্যাতন নিয়ে সমাজ কথা বললেও মানসিক নির্যাতন নিয়ে কথা কম হয়। ‘লজ্জা’ সিরিজের দ্বিতীয় সিজনেও কী বিষয়টি উঠে এসেছে?
জবাবে প্রিয়াঙ্কা সরকার বলেন, “সিজন ওয়ানে আমরা বলেছিলাম, গায়ে হাত না দিয়েও আঘাত করা যায়। অনেক ক্ষতচিহ্নের কালশিটে দাগ থাকে না। সেটা আরো মুশকিল। বাইরে থেকে সেই দাগ কিন্তু দেখা যায় না। আর সেখানেই জয়ার স্ট্রাগল।”
ভারবাল অ্যাবিউজের শিকার হয়েছেন কি না? উত্তরে প্রিয়াঙ্কা সরকার বলেন, “কিছু মানুষ আছেন তারা গালাগালিতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। যদি সেটা পছন্দ না হয় আমাদেরকেই তো মুখ খুলতে হবে।”
একটি রিসোর্টে মারা যায় জয়ার বন্ধু শৌর্য। সেখানে জয়াও ছিল। শৌর্যর সঙ্গে জয়ার অবৈধ সম্পর্ক ছিল, সবাই এমন সন্দেহ করতে থাকে। স্বামীর মৌখিক নিগ্রহের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় যেসব মানুষকে পাশে পেয়েছিল জয়া, তারাও দূরে চলে যায়। ফলে আরো কোণঠাসা হয়ে পড়ে সে। স্বামী, সংসার, সন্তান— সব হারিয়ে শূন্য হাতে বিচারব্যবস্থার দ্বারস্থ হয় জয়া। এমন গল্প নিয়ে এগিয়েছে ‘লজ্জা টু’ সিরিজের কাহিনি। এই জয়া চরিত্রে দেখা যাবে প্রিয়াঙ্কাকে। তা ছাড়াও অভিনয় করেছেন দীপঙ্কর দে, অনিন্দিতা বসু, অনুজয় চ্যাটার্জি প্রমুখ।
ব্যক্তিগত জীবনে টলিউডের চিত্রনায়ক রাহুল ব্যানার্জিকে ভালোবেসে বিয়ে করেন প্রিয়াঙ্কা। তাদের সংসারে সহজ নামের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। বিয়ে-বিচ্ছেদ থেকে আবার সংসারে ফেরা— সব কিছু নিয়েই তুমুল সমালোচিত হয়েছেন এই দম্পতি। ফলে ব্যক্তিগত জীবনেও অনেকটা সংগ্রাম করেছেন প্রিয়াঙ্কা।
ঢাকা/শান্ত