বগুড়ার শেরপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বিরইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও একজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিহত হৃদয় সরকার (২০) উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বিরইল গ্রামের সোলাইমান সরকারের ছেলে ও একই গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে শুভ শেখ (২০)। আহত শিক্ষার্থীর নাম সাগর শেখ (২০)। তিনি ওই গ্রামের শাহিন শেখের ছেলে। তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা তিনজন স্থানীয় কলেজের শিক্ষার্থী। এ বছর তাঁদের এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।

স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মির্জাপুরের ইউসুফ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে নতুন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য ব্যক্তিদের ছবি তোলার কার্যক্রম চলছে। ছবি তুলতে আজ সেখানে গিয়েছিলেন ওই তিন তরুণ। সেখান থেকে তাঁরা মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে রাজাপুর এলাকায় মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে একটি গাড়ি চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে হৃদয় সরকার ও শুভ শেখ নিহত হন।

শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপরিদর্শক (এসআই) নুর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। চাপা দেওয়া গাড়ির সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গাড়ি শনাক্ত করা হবে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ রায় ঘোষণা করেছেন।

রায় ঘোষণার আগে আনোয়ার হোসেনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের মাকে তালাক দেন তার বাবা। এরপর ২০১৫ সালে আনোয়ার হোসেনকে বিয়ে করেন ভিকটিমের মা। দুই সন্তানকে নিয়ে মাদারীপুরে বাবার বাড়িতে থাকতেন তিনি। আনোয়ার হোসেন একা সংসার চালাতে পারছিলেন না। ভিকটিমের মা ঢাকায় এসে গৃহকর্মীর কাজ শুরু করেন। তার দ্বিতীয় সংসারে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তাকে দেখাশোনার জন্য কেউ ছিল না। আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলে ভিকটিমকে ঢাকায় নিয়ে আসেন তার মা। হঠাৎ ভিকটিমের মাকে আনোয়ার হোসেন জানিয়ে দেন, তিনি সংসারের খরচ দিতে পারবেন না। সন্তানদের কথা চিন্তা করে আনোয়ার হোসেনকে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তালাক দেন ভিকটিমের মা। ৪ আগস্ট বাসায় এসে আনোয়ার হোসেন ভয় দেখিয়ে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ভিকটিমের মা ২০ সেপ্টেম্বর আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ছয় জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ