রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত (সাবেক জিএমপি কমিশনার) ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম ও সিলেট জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ বরখাস্তের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

রোববার (১৬ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি প্রজ্ঞাপন দুটিতে সই করেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত বছর ৫ অক্টোবর গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এ কারণে ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলামকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী গত ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ৮ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত (সাবেক সিলেট জেলা পুলিশ সুপার) আব্দুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে সিলেট কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ কারণে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী গত ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই দুই কর্মকর্তা বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাপ্য হবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ল শ কর মকর ত গত ৯ ফ ব র য় র ক বরখ স ত সরক র ড আইজ

এছাড়াও পড়ুন:

নোমানী হত্যা মামলা: পাবিপ্রবির সহকারী অধ্যাপককে বহিষ্কার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার আসামি আওয়াল কবির জয়কে সাময়িক বহিষ্কার করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) প্রশাসন। জয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।

 শনিবার (১৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে বহিষ্কারের বিষয়টি জানা গেছে।  গত বুধবার (১২ মার্চ) রেজিস্ট্রার অফিস আওয়াল কবির জয়ের বহিষ্কার নিয়ে একটি অফিস আদেশ জারি করে।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আওয়াল কবির কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত গত বছর ৭ নভেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া বিভাগীয় আদেশ অমান্য, মিথ্যা তথ্য প্রদান করে ভার্চুয়ালী ক্লাসের অনুমতি গ্রহণের কারণে অসঙ্গত আচরণ, উর্দ্ধতন কর্মকর্তার আইনসঙ্গত আদেশ অমান্য, কর্তব্য অবহেলা প্রদর্শনজনিত কার্য সংগঠন ও পলায়নের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

তার এসব আচরণ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ)(গ) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের পর থেকে আওয়াল কবির জয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি তৎকালীন প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিয়ে তিন মাসের জন্য অনলাইনে ক্লাস নেন। নতুন প্রশাসন আসার পর অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার অনুমতি চাইলে, তা মঞ্জুর করা হয়নি। গত ৭ নভেম্বর থেকে তিনি লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। তাকে কর্মস্থলে আসার জন্য প্রশাসন থেকে আদেশ দেওয়া হলেও তিনি তা অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে আমরা সাময়িক খুশি হয়েছি। তবে আমরা এ খুনির স্থায়ী বহিষ্কার চাই। একজন খুনির জায়গা কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে পারে না। সামনে যেন এই খুনি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ না করতে পারে, প্রশাসন যেন সে উদ্যোগ নেয়।”

আওয়াল কবির জয় ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ২০০৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার তিন নাম্বার আসামি ছিলেন। ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল সালে তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।

ঢাকা/আতিক/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুলিশের ডিআইজি মোল্লা নজরুল ও এসপি মান্নান সাময়িক বরখাস্ত
  • ডিআইজি মোল্যা নজরুল ও এসপি আব্দুল মান্নান সাময়িক বরখাস্ত
  • পাকিস্তানের রেকর্ড হার ও রান তাড়ায় সবচেয়ে কম বল খেলে পাওয়া জয়
  • নোমানী হত্যা মামলা: পাবিপ্রবির সহকারী অধ্যাপককে বহিষ্কার