সংস্কার কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে ভিন্নমত জানিয়ে চিঠি দিল ইসি
Published: 17th, March 2025 GMT
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশের বিষয়ে ভিন্নমত জানিয়ে জাতীয় ঐক্য কমিশনকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশন মনে করে, এসব সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে ইসির স্বাধীনতা খর্ব হবে।
আজ সোমবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বরাবর এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের ৯-১০ টি সুপারিশের বিষয়ে ভিন্নমত জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে একটি স্বতন্ত্র কমিশন করার কথা বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, এটির প্রয়োজন নেই।
এ ছাড়া সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের যে ফর্মুলার কথা বলা হয়েছে, সেটি হলে শহর অঞ্চলে আসন বেড়ে যাবে। ইসি মনে করে ভোটারসংখ্যা, জনসংখ্যা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা বিবেচনা করে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা উচিত।
ইসি সচিব আরও বলেন, সংস্কার কমিশন নির্বাচনের পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সার্টিফাই করার বিষয়ে একটি সুপারিশ করেছে। নির্বাচন কমিশন মনে করে এটির প্রয়োজন নেই। কারণ ফলাফলের যে গেজেট প্রকাশিত হয় সেটি সার্টিফিকেশন।
নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা ও নির্বাচন কমিশনারদের শাস্তির বিষয়ে সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে তাতেও ভিন্নমত জানিয়েছে ইসি। ইসি সচিব বলেন, ‘এ জন্য একটি ব্যবস্থা এখনই রয়েছে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল আছে।’
যদি নির্বাচন শেষ হওয়ার পাঁচ বছর, দশ বছর পর নির্বাচন কমিশনারদের আদালতে দৌড়াতে হয় এটি কি যৌক্তিক হবে এমন প্রশ্ন রেখে ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ী হবেন একজন, বাকিরা সংক্ষুব্ধ হয়ে যেকোনো অভিযোগই করতে পারেন। এ ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশনের কাছে থাকা উচিত বলেও কমিশন মত দিয়েছে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ ন নমত জ ন
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী সংসদ নির্বাচন ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ হিসেবে হওয়া দরকার: জোনায়েদ সাকি
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ হিসেবে হওয়া দরকার বলে মনে করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, সে ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে জনগণের অভিপ্রায় হিসেবে সংস্কারকৃত সংবিধান দেশে টেকসই হয়। আদালত সেটিকে যথাযথ সুরক্ষা দিতে পারে। সেটি কত দিনে বাস্তবায়িত হবে, সে জন্য জাতীয় ঐকমত্য হওয়া দরকার।
শনিবার দুপুরে বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে গণমাধ্যমের কাছে এ মন্তব্য করেন জোনায়েদ সাকি। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ বৈঠক হয়।
বাংলাদেশের সংস্কার সবার দাবি উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘দেশকে নতুন বন্দোবস্তের দিকে নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে সংবিধানসহ যে সংস্কারের প্রশ্ন আছে, আমরা বলেছি এ পদ্ধতি হওয়া উচিত জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে। অর্থাৎ ঐকমত্য ও সমঝোতার মধ্য দিয়ে সবাই যেটাতে ঐকমত্যে পৌঁছাব, সেগুলো জাতীয় চার্টার (সনদ) আকারে সামনে আসবে। তা বাস্তবায়নে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।’ জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী হওয়ার কথাও বলেন তিনি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে জাতিসংঘ পাশে আছে বলে বৈঠকে আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন। গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘জাতিসংঘ মনে করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যথাসম্ভব ঐকমত্যের মধ্য দিয়ে আমাদের নিজেদের একটা জায়গায় পৌঁছাতে হবে, যাতে করে কী পদ্ধতিতে উত্তরণ পর্বটি পাড়ি দেব, তাতে একমত হতে পারি।’