লঞ্চে নবজাতকের জন্ম, আজীবন বিনা মূল্যে যাতায়াতসুবিধার ঘোষণা লঞ্চমালিকের
Published: 17th, March 2025 GMT
চাঁদপুর থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে এমভি বোগদাদীয়া-৮ লঞ্চে এক নবজাতকের জন্ম হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সাদিয়া আক্তার নামের এক যাত্রী মেয়েসন্তানের জন্ম দেন।
ওই নবজাতক এমভি বোগদাদীয়া-৮–এ আজীবন বিনা মূল্যে যাতায়াতের সুবিধা পাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন লঞ্চটির মালিক হামিদুল্লাহ সুমন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লঞ্চের কেরানি মো.
সাদিয়া আক্তার চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ভিঙ্গুলিয়া গ্রামের দিনমজুর জহির খানের স্ত্রী। চিকিৎসার জন্য তিনি চাঁদপুর থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।
লঞ্চের কেরানি মো. দীপু বলেন, ‘গতকাল বিকেল পাঁচটায় এমভি বোগদাদীয়া-৮ লঞ্চটি চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। সন্ধ্যায় লঞ্চটি ঢাকার কাছাকাছি পৌঁছায়। তখন নিচতলার ডেকে সাদিয়া আক্তার নামের এক যাত্রীর প্রসবব্যথা ওঠে। আমরা তাঁকে কেবিনে নিয়ে যাই। সন্ধ্যা ৭টা ৩১ মিনিটের সময় তিনি একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তান জন্ম দেন।’
মো. দীপু জানান, এই খুশিতে লঞ্চের মালিক হামিদুল্লাহ সুমন আনন্দিত হয়ে শিশুটির জন্য আজীবন ওই লঞ্চে যাতায়াত ফ্রি ঘোষণা দিয়েছেন।
সাদিয়া আক্তারের সঙ্গে ছিলেন তাঁর চাচিশাশুড়ি মৌসুমি বেগম। তিনি বলেন, সাদিয়ার প্রসবব্যাথা হলে তাঁকে প্রথমে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলা হয়। তবে তাঁরা সাদিয়াকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, চাঁদপুরে নবজাতকের জন্য আইসিইউর ব্যবস্থা নেই। এ জন্য তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামশ্য দেন। গতকাল বিকেল পাঁচটার লঞ্চে তাঁরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। তবে লঞ্চের মধ্যেই সাদিয়া স্বাভাবিকভাবে বাচ্চার জন্ম দিয়েছেন।
মৌসুমি বেগম জানান, গতকাল রাতে ঢাকায় নেমে সাদিয়াকে একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে রাত ১২টার লঞ্চে করে ঢাকা থেকে চাঁদপুরের হাইমচরে চলে আসেন। এখন নবজাতক বাচ্চা ও মা দুজনই সুস্থ আছেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীকে খুনের পর পালাল স্বামী, পুলিশ বলছে পারিবারিক কলহ
পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর পালিয়েছে স্বামী। বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের চাড়ালকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাঘাতে নিহত সীমা আক্তার কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বাসিন্দা মাহমুদুল হক করিমের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে সীমা আক্তারকে ছুরিকাঘাত করে তার স্বামী মাহমুদুল হক। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে তিনটার দিকে মারা যান।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান বলেন, মাহমুদুল হক উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের পিএইচপি গ্লাস তৈরির কারখানায় চাকরি করেন। সেই সুবাদে স্ত্রী সীমা আক্তারকে নিয়ে কারখানা কাছাকাছি চাড়ালকান্দি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করেন। রাতে কলহের জের ধরে স্ত্রী সীমা আক্তারকে ছুরিকাঘাত করেন মাহমুদুল হক।
আহত সীমার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মাহমুদুল হক পলাতক রয়েছেন।