ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় ঘুষ গ্রহণের সময় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও অডিটরকে হাতেনাতে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার তাদের দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

আটক দুইজন হলেন- উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. শেরিকুজ্জামান ও অডিটর মো. হান্নান। দুদক জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তাদেরকে ফাঁদ মামলা পরিচালনা করে হাতেনাতে ধরা হয়েছে।

দুদক জানায়, দুদক কার্যালয়ে অভিযোগ করেন মো.

আব্দুল হামিদ নামের এক ব্যক্তি। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত নিরাপত্তা প্রহরী। উপজেলার গেদুরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন। অবসরকালীন সুবিধাপ্রাপ্তির জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি হামিদ উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদন করেন। পরে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের অডিটর মো. হান্নান ও উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. শেরিকুজ্জামান তার ফাইল প্রক্রিয়াকরণের জন্য ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন, যা পরে ২২ হাজার টাকায় সমঝোতা হয়।

বিষয়টি হামিদ দুদক ঠাকুরগাঁও কার্যালয়ে জানায়। পরে কমিশন ঘুষ গ্রহণের সময় হাতেনাতে আটকের জন্য একটি ফাঁদ মামলা পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, আব্দুল হামিদ চাহিদামতো ২২ হাজারের মধ্যে ৫ হাজার টাকা নগদ দেওয়ার সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে মো. হান্নানকে ঘুষ গ্রহণের সময় হাতেনাতে আটক করে। একইসঙ্গে এই কর্মকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. শেরিকুজ্জামানকেও আটক করা হয়। 

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় দুদক।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঠ ক রগ ও গ রহণ র র সময় উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

রমজানে গোবিপ্রবিতে সংহতির সুবাতাস

রমজান এলেই গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) নেমে আসে এক অন্যরকম আবহ। সারা বছর পড়াশোনার ব্যস্ততায় ডুবে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ মাসে যেন এক অন্য রকম আনন্দ আর সংহতির সুবাতাস ছড়িয়ে পড়ে।

পুরো রমজান মাস জুড়ে গোবিপ্রবি  ক্যাম্পাসে ইফতার আয়োজন থাকে চোখে পড়ার মতো। বন্ধু-সহপাঠী ছাড়াও ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, জেলা ও অঞ্চলভিত্তিক সংগঠন এবং বিভাগগুলোর পক্ষ থেকে ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। এভাবে পুরো রমজান জুড়ে একের পর এক সংগঠনের ইফতার পার্টি চলতে থাকে।

এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথম রোজা থেকে শুরু করে প্রতিনিয়ত চলছে মহাসমারহে ইফতার মাহফিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা থাকায় শিক্ষার্থীরা ইচ্ছে থাকলেও পরিবারের কাছে যেতে পারেননি। আবার অনেকে আবাসিক হল খোলা থাকায় চাকরির প্রস্তুতির জন্য বন্ধুদের সঙ্গে হলে থেকে গেছেন। প্রতিদিনের ক্লাস, পরীক্ষা সেমিনার, লাইব্রেরির ব্যস্ততার মাঝে ইফতারের সময়টা হয়ে ওঠেছে এক প্রশান্তির বিরতি।  ক্যাম্পাসে যেন এক আলাদা উচ্ছ্বাসের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। গড়ে ওঠেছে এক মধুর মিলনমেলা। 

রসায়ন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জামিউল ইসলাম জয় বলেন, “পরিবার থেকে দূরে, রমজানে বাবা-মায়ের স্নেহ-মমতার চাদর থেকে দূরে থেকেও ক্ষণিকের জন্য বন্ধুত্বের মিশেলে এই সময়টুকুই হয়ে ওঠে অনন্য। দলগত ইফতারে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের পাশাপাশি পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নতি হয়।”

ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগের  ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাকিউর রহমান সরকার তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, “ফিশারিজ বিভাগ আমাদের পরিবারের মত। পরিবারে যেমন ভাই-বোন এক সঙ্গে ইফতার করলে অনেক ভালো লাগে। তেমনি বিভাগে সিনিয়র জুনিয়র মিলে ইফতার করলে অনেক ভালো লাগা কাজ করে। এটাই হয়তোবা ফিশারিজ পরিবারের সঙ্গে আমার শেষ ইফতার।”

ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ