বগুড়ায় ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
Published: 17th, March 2025 GMT
বগুড়ার কাহালু উপজেলায় ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও সমবয়সী আরেক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে করা মামলার একমাত্র আসামি নুর ইসলামকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও কাহালু থানার পুলিশের যৌথ দল গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার পাইকর ইউনিয়নের শাহানাপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
নুর ইসলাম উপজেলার একটি আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে ১২ মার্চ আবাসনের একটি ব্যারাকে এক শিশুকে ধর্ষণ এবং অন্য শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে এক মা বাদী হয়ে গত শুক্রবার কাহালু থানায় ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন দমন আইনে নুর ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে নুর ইসলাম পলাতক ছিলেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত বুধবার দুই শিশুকে কৌশলে শোবার ঘরে ডেকে নিয়ে এক শিশুকে ধর্ষণ এবং অপর শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন নুর ইসলাম। এ কথা কাউকে জানালে মেরে ফেলার ভয় দেখান। একটি শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি জানাজানি হয়। তখন পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়।
বগুড়া জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে আজ সোমবার আদালতে হাজির করা হবে।
শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
শ্লীতাহানির চেষ্টার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
এদিকে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক নারী শিক্ষককে শ্লীতাহানির চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নুরুল ইসলাম (৪৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুল ইসলামের বাড়ি উপজেলা সদরের বেলকুচি গ্রামে। তিনি ধুনট সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিলেন নুরুল ইসলাম। ৫ মার্চ বিকেলে বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে তাঁকে আবারও উত্যক্ত করেন ও কুপ্রস্তাব দেন নুরুল ইসলাম। এ সময় নুরুল ইসলামের অপকর্ম মুঠোফোনে ধারণ করেন ওই শিক্ষক। এতে নুরুল ইসলাম ক্ষুব্ধ হন। পরে বিদ্যালয়–সংলগ্ন দোকান থেকে ওষুধ কিনে ফেরার পথে ওই নারী শিক্ষকের শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালান নুরুল ইসলাম। এ সময় তাঁর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে নুরুল ইসলাম কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ১০ মার্চ ওই শিক্ষক বাদী হয়ে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় মামলা করেন।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, স্কুলশিক্ষককে শ্লীলতাহানির চেষ্টার মামলায় একমাত্র আসামি নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ন র ল ইসল ম ন র ইসল ম ইসল ম র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতির বক্তব্য, সমালোচনা
কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নীলিমা চৌধুরীর উপস্থিতি ও বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা চলছে।
গতকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কক্সবাজার সফরে আসেন। দুপুর পৌনে ১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান।
সফরের অংশ হিসেবে কক্সবাজারের বিয়াম ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নীলিমা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন এবং বৈঠকে বক্তব্য রাখেন। এরপর থেকে ছাত্র প্রতিনিধি ও সচেতন মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন।
জাবেদ ইকবাল নামের একজন ফেসবুকে লেখেন, প্রধান উপদেষ্টার অনুষ্ঠানে প্রবেশের ব্যবস্থা কে করলো এবং কীভাবে বক্তব্য রাখলো? তদন্ত পুর্বক সহযোগিতাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
রেজাউল করিম রেজা নামের এক পর্যটন সংগঠক মন্তব্য করেন, ‘‘এদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিতে গিয়ে পর্যটন নিয়ে মতবিনিময় সভা হলেও আমরা পর্যটনের লোকজন কথা বলার সুযোগ পাইনি।’’
তবে তিনি একজন উন্নয়নকর্মী হিসেবে ব্যাপারটি স্বাভাবিক চোখে দেখেছেন অনেকে।
শাখাওয়াত হোসাইন সুজন নামের একজন ফেসবুকে মন্তব্য করেন, উনি একজন মানবিক নেত্রী, মানুষের জন্য কাজ করেন। তাকে নিয়ে এমন মন্তব্য খুবই দুঃখজনক। তাহলে তো দেশটা একটা গোষ্ঠীকে দিয়ে দিতে হবে।
নীলিমা চৌধুরী আওয়ামী রজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন বলে জানা যায়। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে তার একনিষ্ঠ প্রচার-প্রচারণার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এ ব্যাপারে নীলিমা চৌধুরীর মুঠোফোনে সংযোগ না পাওয়ায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজার সফরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উখিয়ায় এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার করেন।
ঢাকা/তারেকুর/বকুল