সিটি ব্যাংকে চাকরি, স্নাতক পাসে আবেদন
Published: 17th, March 2025 GMT
বেসরকারি সিটি ব্যাংক পিএলসি জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ব্যাংকটি ক্রেডিট পলিসি অ্যান্ড কম্পিলিয়ান্স, ক্রেডিট অ্যান্ড কালেকশন (এসও/ইও/এসইও) বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট/অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার/ম্যানেজার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। ১৬ মার্চ থেকেই অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে ২২ মার্চ পর্যন্ত। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী নানা সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
ব্যাংকের নাম: সিটি ব্যাংক পিএলসি
পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট/অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার/ম্যানেজার
বিভাগ: ক্রেডিট পলিসি অ্যান্ড কম্পিলিয়ান্স, ক্রেডিট অ্যান্ড কালেকশন (এসও/ইও/এসইও)
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
আবেদনে শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকলে আবেদন করা যাবে।
অন্য যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা
অভিজ্ঞতা: ৫ থেকে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে
আবেদনে বয়সসীমা: উল্লেখ নেই
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
অন্য সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী সুযোগ–সুবিধা পাবেন।
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও আবেদনের বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুনচিকিৎসকদের জন্য বিশেষ বিসিএস কি ৪৮তম১৬ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রান্তিক মানুষের কাছে সেবা পৌঁছাতে চায় ঢাকা ব্যাংক
ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে গত অক্টোবরে দায়িত্ব নিয়েছেন শেখ মোহাম্মদ মারুফ। এর আগে তিনি সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত এমডি ছিলেন। ঢাকা ব্যাংকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ ব্যাংক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি সমকালের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শাহাদাৎ তনিম।
সমকাল: আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংকে চাকরি শুরু করেছিলেন। সেখান থেকে ইস্টার্ন ব্যাংক, সিটি ব্যাংক হয়ে এখন আপনি ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। দীর্ঘ এই ব্যাংকিং ক্যারিয়ার নিয়ে জানতে চাই।
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইন্যান্স বিভাগ থেকে স্নাতক পাস করেছি। সাধারণত কমার্স বিভাগ থেকে যারা পড়াশোনা করেন তাদের স্বপ্ন থাকে ব্যাংকে কাজ করার। আমার বড় ভাই আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংকে কাজ করতেন। মূলত তাঁকে দেখেই ব্যাংকে কাজের আগ্রহটা প্রবলভাবে আসে। ১০ বছর বিদেশি ব্যাংকে কাজ করার পর দেশের বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো কীভাবে অপারেট হয় তা নিয়ে কাজ করার বিষয়ে আগ্রহী হই। ২০০৫ সালের শেষের দিকে আমি ইস্টার্ন ব্যাংকে যোগ দিই। অল্প কিছুদিন কাজ করার পর ২০০৭ সালের দিকে সিটি ব্যাংক থেকে অফার পাই। তবে আমার দীর্ঘ ২৭ বছরের চাকরি জীবনের বেস্ট অর্গানাইজেশন ছিল আমেরিকান এক্সপ্রেস।
সমকাল: দেশে এখন সরকারি-বেসরকারি খাতে মোট ৬১টি ব্যাংক রয়েছে। এতো ব্যাংকের মধ্যে গ্রাহক আপনাদের আলাদা করবে কীভাবে?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ঢাকা ব্যাংকের নামে কখনও খারাপ সংবাদ পাবেন না। এটিই একটি শক্তশালী দিক এই ব্যাংকের। ঢাকা ব্যাংক হলো ধীরগতির ক্রমবর্ধমান ব্যাংক। আমাদের করপোরেট ব্যাংকিং অনেক শক্তিশালী। ঢাকা ব্যাংক সেকেন্ড জেনারেশনের প্রথম সারির ব্যাংক, যারা গত ৩০ বছর ধরে ক্রমবর্ধমানভাবে সেবা দিয়ে আসছে। অনলাইন ব্যাংকিং, ডিজিটাল লোন, ডিজিটাল ডিপোজিট স্কিম রয়েছে আমাদের। এছাড়া আমাদের ক্রেডিট কার্ড সেবার মান বাজারের সেরা।
সমকাল: ব্যাংক খাতে এখন তারল্য সংকট চলছে। এর মধ্যেও গত অক্টোবরে কয়েকটি দুর্বল ব্যাংকে তহবিল সহায়তা দিয়েছে ঢাকা ব্যাংক। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে এই শক্তি অর্জন কীভাবে সম্ভব হয়েছে?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: প্রথমত, গ্রাহকের আস্থা রয়েছে আমাদের ওপর। দ্বিতীয়ত, আমাদের পরিচালনা পর্ষদ এবং ম্যানেজমেন্ট অনেক শক্তিশালী। তারা আমাদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেন। বাংলাদেশের মতো ইকোনমিতে কোনো ব্যাংক ফেইল করা সামগ্রিক অর্থনীতিতে একবারেই ভালো কিছু না। আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী আমরা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করেছি। আমরা চাই আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক, গ্রাহকের আস্থা বাড়ুক।
সমকাল: ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে দেশে ডলার সংকট চলছে। আইএমএফের শর্ত মেনে ডলার দর নির্ধারণ পদ্ধতি কিছুটা বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। এরপরও কি ডলার সংকট পুরোপুরি সমাধান হয়েছে বলে মনে করেন?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ডলারের অবস্থা আগের থেকে অনেকটা উন্নতি হয়েছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ অনেক বেড়েছে। এটি সামনে আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। তবে দেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে অবকাঠামো খাতের বিনিয়োগে কিছুটা স্থবিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক হওয়া উচিত। বিনিয়োগ বাড়লে আমদানি বাড়বে, ফলে ডলারের চাহিদা আবার বাড়বে।
সমকাল: ব্যাংক খাতের প্রধান সমস্যা উচ্চ খেলাপি ঋণ। এ সমস্যার সমাধানে কী করা উচিত?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: প্রথমে আর্থিক খাতে সুশাসন আনতে হবে। ব্যাংকগুলো ঋণখেলাপির কারণে যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা স্বীকার করতে হবে। এ জাতীয় ঘটনা সামনে যেন আর না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোথায় কোন ব্যাংক কীভাবে পরিচালিত হবে তা নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। কাজ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা আনতে হবে। সুসংগঠিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব।
সমকাল: দুর্বল ব্যাংকগুলো নিয়ে কী ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: প্রথমেই খুঁজে বের করতে হবে এই দুর্বল ব্যাংকগুলোর ক্ষতটা কতটুকু গভীর। ক্ষত অনুযায়ী প্রতিকারমূলক পরিকল্পনা নেওয়া উচিত। আমাদের এমন কোনো কাজ করা উচিত হবে না, যেখানে ডিপজিটররা ক্ষতিগ্রস্ত হন। গ্রাহকদেরও সচেতন হতে হবে। মুনাফা দেখে নয়, ব্যাংকের মূল ভিত্তি, ম্যানেজমেন্ট দেখে টাকা রাখা উচিত। সঠিক পরিচালনা, কার্যকর ব্যবস্থাপনা ও সরকারি তারল্যসহায়তার মাধ্যমে সামলানো সম্ভব।
সমকাল: ঢাকা ব্যাংকের আগামী দিনের পরিকল্পনা জানতে চাই
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ঢাকা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ খুবই দূরদর্শী। যার ফলে ব্যাংকটি ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। আমাদের
জনবল দক্ষ, অপ্রয়োজনীয় জনবল নেই। এখন পরবর্তী ধাপে যেতে হলে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রয়োজন, যা আমরা পেয়েছি। আমরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাই। দেশের ও গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুযায়ী করপোরেট ঋণ আগের মতোই
থাকবে। এর পাশাপাশি খুচরা ঋণ, এসএমই, কৃষিঋণ ও ক্রেডিট কার্ড খাতে আরও মনোযোগ দেওয়া হবে। এসব ঋণের প্রবাহ ও বিতরণ যুগোপযোগী করা হবে। আমরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে চাই, যাতে কম খরচে বেশি মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। আমরা শুধু মুনাফার দিকে তাকাচ্ছি না, মূলধন শক্তিশালী করার দিকেও নজর দিচ্ছি। আমরা দক্ষ জনবল নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে চাই, যা বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্মের আর্থিক চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে।