কোটালীপাড়ায় ক্লিনিক মালিক সমিতির ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত
Published: 17th, March 2025 GMT
পবিত্র রমজান উপলক্ষে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক সমিতির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার মুনা জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ মাহফিলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান শুভ, কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোটালীপাড়া বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি বুলবুল আলম ফিরোজ। সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ লাল দাস, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসি উদ্দিন দাড়িয়াসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, ইমাম ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এতে অংশ নেন।
ইফতারের আগে মাহে রমজানের তাৎপর্য, আত্মসংযম, তাকওয়া ও দান-সদকার গুরুত্ব নিয়ে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন, “রমজান শুধু উপবাসের মাস নয়, এটি আত্মশুদ্ধি, সহমর্মিতা ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক অনন্য সুযোগ। এই মাসে নেক আমলের সওয়াব বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়, তাই আমাদের উচিত বেশি বেশি ইবাদত ও মানবসেবায় নিয়োজিত থাকা।”
পরে দেশ ও জাতির শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে সকলের গুনাহ মাফ, রহমত ও মাগফিরাত লাভ এবং সমাজে শান্তি-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য দোয়া করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইফত র প র ট অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
চুয়েট ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকে বহিষ্কার
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সাত শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম এবং স্থায়ীভাবে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর বাইরে কেবল আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে আরও ১২ শিক্ষার্থীকে। বহিষ্কৃত সবাই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের চুয়েট শাখার সাবেক নেতা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির ২৮১তম সভায় (জরুরি) এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ সোমবার শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত পৃথক ২১টি বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পাঠানো কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে সভায় শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে চারজনকে দুই বছর এবং বাকি তিনজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে তাঁদের আবাসিক হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজয় হোসেন, সাবেক সহসভাপতি মো. ইমাম হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান। এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌমিক জয়, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম ও তাহসিন ইশতিয়াক।
আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তোফাইয়া রাব্বি, মো. সাদিকুজ্জামান, ইউসুফ আবদুল্লাহ, মো. তানভীর জনি, ইফতেখার সাজিদ ও শাকিল ফরাজী; সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের, মাহমুদুল হাসান, মো. রিফাত হোসাইন, মইনুল হক এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল করিম ও আবদুর রহমান।
এসব শিক্ষার্থীর বাইরে আরও দুজনকে কেবল সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাঁরা হলেন চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি চিন্ময় কুমার দেবনাথ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব উদ্দিন চৌধুরী।
জানতে চাইলে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্তের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিরোধী এবং ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার বেশ কিছু লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শাতে বলা হয়। তাঁদের জবাব এবং অভিযোগের বিপরীতে পাওয়া তথ্যপ্রমাণের আলোকে শৃঙ্খলা কমিটি এসব শাস্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।