পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আন্তঃনগর ট্রেনের আসনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ সোমবার আগামী ২৭ তারিখের টিকিট দেওয়া হয়।

গত ১৪ মার্চ থেকে রেলওয়ের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। যাত্রীদের সুবিধার্থে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ২৭ মার্চ সারাদেশে ভ্রমণের জন্য অগ্রিম টিকিট কাটতে আজ সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ১ কোটি ৫০ লাখ হিট বা টিকিট কাটার চেষ্টা করা হয়েছে।

রেলওয়ের তথ্য বলছে, পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চল মিলিয়ে আগামী ২৭ মার্চ ট্রেনে যাতায়াতের জন্য ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোর আসন সংখ্যা ৩৩ হাজার ১৯৯টি। সারা বাংলাদেশে এই আসন ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৭৯টি।

আজ সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার ৯৫৭টি, সারাদেশের ১০ হাজার ৫৩৯টি। সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ঢাকা থেকে যাত্রার ১৩ হাজার ৩৫৩ এবং সারাদেশের ১৭ হাজার ৪৮১টি টিকিট বিক্রি হয়েছে।

এসব টিকিট বিক্রি শুরুর প্রথম ৩০ মিনিটেই টিকিট কিনতে দেড় কোটি হিট পড়ে বা টিকিট ক্রয়ের চেষ্টা করা হয়েছে।

এর আগে গত ৯ মার্চ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অগ্রিম টিকিট বিক্রির তথ্য জানানো হয়।

বরাবরের মতো এবারও আন্তঃনগর ট্রেনের ৭ দিনের অগ্রিম টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় বিক্রি করা হবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। বিশেষ ব্যবস্থায় বিক্রি হওয়া কোনো টিকিট রিফান্ড করার সুযোগ থাকছে না।

বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল থেকে অনলাইনে শুরু হয় অগ্রিম টিকিট বিক্রি। ওই দিন আগামী ২৪ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হয়। শনিবার (১৫ মার্চ) বিক্রি হয় আগামী ২৫ মার্চের টিকিট এবং ২৬ মার্চের টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৬ মার্চ। এ ছাড়া ২৮ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৮ মার্চ; ২৯ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৯ মার্চ এবং ৩০ মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ২০ মার্চ।

এছাড়া চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ৩১ মার্চ, ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হতে পারে। যাত্রী সাধারণের অনুরোধে নন-এসি কোচের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে। ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট একজন যাত্রী সর্বোচ্চ একবার কিনতে পারবেন এবং এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চারটি আসন সংগ্রহ করতে পারবেন।

টিকিট বিক্রি নিয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে পশ্চিমাঞ্চল এবং পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা মোট ৪৩টি আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় বিক্রি হচ্ছে। যার মধ্যে সকাল ৮টা থেকে পশ্চিমাঞ্চলের ২০টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এছাড়া দুপুর ২টায় পূর্বাঞ্চলের ২৩টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র লওয়

এছাড়াও পড়ুন:

শুরু হচ্ছে ‘মুনলাইট ফেস্টিভ্যাল সিজন ১’

এবার ঢাকার প্রাণ কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো এনেক্স কমিউনিকেশনস লিমিটেড আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘মুনলাইট ফেস্টিভ্যাল সিজন ১’। এখানে ভোজন রসিকরা উপভোগ করতে পারবেন প্রচলিত সব খাবারের পাশাপাশি সিজলিং বারবিকিউ–ধোঁয়া ওঠা গরম কাবাব আর গ্রিল, ভিন্ন স্বাদের বাহারি সব স্ট্রিট ফুড, রঙিন সব মিষ্টির ভেলকি, গরম ও ঠাণ্ডা পানীয় স্টেশন এবং ইফতার ও সেহরির বিশেষ আয়োজন। এখানে একই ছাদের নিচে থাকবে ৪০টিরও বেশি দেশি-বিদেশি সব রেস্টুরেন্ট ও ফুড ব্র্যান্ড।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনেক্স কমিউনিকেশনস লিমিটেড জানায়, এটা শুধুমাত্র একটি ফুড ফেস্টিভ্যাল নয়। এখানে খাবারের পাশাপাশি থাকবে বিনামূল্যে আকর্ষণীয় সব বিনোদনের ব্যবস্থা। একই ছাদের নিচে অতিথিরা খাবার গ্রহণের পাশাপাশি উপভোগ করতে পারবেন অন্যতম জনপ্রিয় স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান মেহেদি তরু এবং তাহসিন এম খানের সরাসরি পারফরম্যান্স ও ফায়ার স্পিনিং শো। এ ছাড়াও ছোট্ট শিশুদের জন্য থাকবে আনলিমিটেড খেলাধুলার ব্যবস্থা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, শহরের প্রাণকেন্দ্র তেজগাঁওয়ের আলোকিতে এই জমজমাট উৎসবটি ১৮ ও ১৯ মার্চ বিকেল ৪টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত চলবে। পুরো প্রাঙ্গণ জুড়ে থাকবে হাজারও স্বাদের সমারোহ আর দারুণ সব আয়োজন! মুনলাইট ফেস্টিভ্যালে খাবারের পাশাপাশি থাকবে চমকপ্রদ সব আয়োজন—মেহেদি কর্নার, ক্লে স্টেশন সেইসঙ্গে আরও থাকবে জনপ্রিয় সব সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের আনাগোনা।

মুনলাইট ফেস্টিভ্যাল সিজন ১ এর সম্পূর্ণ ইভেন্টটি লাইভ করবেন ফ্যাশন মডেল বুশরা কবির। আরও উপস্থিত থাকবেন ফুড ব্লগার ফাবিহা নওশীন প্রভা, ইফরীত তাহিয়া সহ অনেকেই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ