‘ধর্ষণ’ শব্দ নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ ডিএমপি কমিশনারের
Published: 17th, March 2025 GMT
‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করা নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। আজ সোমবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে বিবৃতি পাঠিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন প্রসঙ্গে আলোচনাকালে ধর্ষণকে বৃহত্তর পরিসরে নির্যাতন হিসেবে অভিহিত করেছি। আমার বক্তব্যে কেউ মনঃক্ষুণ্ন হলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’
গত শনিবার গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ‘হেল্প’ অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি দুটো শব্দ খুব অপছন্দ করি, এর মধ্যে একটি হলো “ধর্ষণ”। আপনাদের কাছে অনুরোধ, এটা ব্যবহার করবেন না। আপনারা “নারী নির্যাতন” বা “নিপীড়ন” বলবেন। আমাদের আইনেও নারী ও শিশু নির্যাতন বলা হয়েছে। যে শব্দগুলো শুনতে খারাপ লাগে, সেগুলো আমরা না বলি।’
আরও পড়ুন‘ধর্ষণ’ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের মন্তব্যের নিন্দা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের১২ ঘণ্টা আগেডিএমপি কমিশনারের এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন পক্ষ। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো.
গতকাল সেভ দ্য চিলড্রেন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনেও বলা হয়, ধর্ষণকে শুধু নারী নির্যাতন ও নারী নিপীড়ন বললে এর ভয়াবহতা হালকা হয়ে যায়।
আরও পড়ুন‘ধর্ষণ’ শব্দের বদলে ‘নারী নির্যাতন’ ব্যবহারের অনুরোধ ডিএমপি কমিশনারের১৫ মার্চ ২০২৫‘ধর্ষণ’ শব্দ পরিহার নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর করা মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ধর্ষণ শব্দটি পরিহার নিয়ে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর করা মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। ৮ বছর বয়সী বা ৮০ বছর বয়সী, যার সঙ্গেই হোক না কেন—ধর্ষণ ধর্ষণই। এমন জঘন্য অপরাধকে অবশ্যই যথাযথভাবে উল্লেখ করতে হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সহিংসতা সহ্য করবে না অন্তর্বর্তী সরকার।’
আরও পড়ুনডিএমপি কমিশনার বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন: ইফতেখারুজ্জামান২২ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স জ জ ত আল ব যবহ র ড এম প ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
রেলের অস্থায়ী শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
আগামী রবিবারের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস পেয়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী (টিএলআর) শ্রমিকরা।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর রেল ভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী (টিএলআর) কর্মচারীদের পক্ষ থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম আন্দোলনরত টিএলআর শ্রমিকদের বকেয়া বেতন আগামী রবিবারের (২৩ মার্চ) মধ্যে পরিশোধের আশ্বাস দেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছেন, ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম (আইবাস) সংক্রান্ত জটিলতার কারণে রেলওয়ের টিএলআর শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সমস্যা ছিল। সে সমস্যা সমাধানে অর্থ বিভাগ ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম চলছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী রবিবারের মধ্যে টিএলআর শ্রমিকদের বকেয়া বেতন তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।
আগামী এপ্রিল মাস থেকে তাদের বেতন প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। তার এ আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে টিএলআর শ্রমিকরা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে, রবিবারের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধ করা না হলে তারা পুনরায় আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রেস ব্রিফিংকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেনসহ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও টিএলআর শ্রমকদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/রফিক