‘তুফান’, থেকে ‘রিকশা গার্ল’, আলোচিত এই শিল্পনির্দেশককে চেনেন কি
Published: 17th, March 2025 GMT
বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলায় স্নাতক করে তখন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন শিহাব নূরুন নবী। একটি ইভেন্টে ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ করতে মামুন নামের এক বড় ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয়। গাও প্রোডাকশনসে কাজ করেন ভদ্রলোক। শিহাবকে তাঁর প্রতিষ্ঠানের হয়ে একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে শিল্পনির্দেশনার প্রস্তাব দেন তিনি। মোবাইল অপারেটর কোম্পানির বিজ্ঞাপন। ‘যেহেতু ইন্টেরিয়রের কাজ করতাম, তাই শিল্পনির্দেশনার অনেক কিছুই আমার জানা ছিল। বিজ্ঞাপনের জন্য সেবার একটি ব্যাংকের ফ্রন্ট ডেস্ক বানিয়েছিলাম। আমার কাজে সবাই বেশ সন্তুষ্ট হয়েছিলেন।’ ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলোর কথা বলছিলেন শিহাব নূরুন নবী।
প্রথম কাজের জোরেই চাকরি হয়ে যায়। এরপর সামির আহমেদের গাও প্রোডাকশনসের হয়ে বিজ্ঞাপনচিত্রে শিল্পনির্দেশনা দেন টানা দুই বছর। এরপর ফ্রিল্যান্সার হিসেবে একে একে গোলাম হায়দার কিসলু, পিপলু আর খান, ওয়াহিদ তারেক, অমিতাভ রেজা, আদনান আল রাজীবসহ বিজ্ঞাপনশিল্পের প্রথম সারির অনেক নির্মাতার সঙ্গে কাজ করেন। প্রায় এক হাজার বিজ্ঞাপনচিত্রে শিল্পনির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
শুটিংয়ে শিহাব নূরুন নবী। শিল্পীর সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন, ঢাকার রাস্তায় আটকে গেলেন পার্থ বড়ুয়া
২০২৩ সালে শুরু হয়েছিল সোলস ব্যান্ডের ৫০ বছর পূর্তির পথচলা। এরপর দেশে ও দেশের বাইরে বেশ কয়েকটি স্টেজ শোতে অংশ নিয়েছেন তাঁরা। ৫০ বছর পূর্তির এই আয়োজন এখনো চলছে। চট্টগ্রামে গড়ে ওঠা ব্যান্ড সোলস এবার তাদের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান চট্টগ্রামেও করতে যাচ্ছে। আগামী ২ মে চট্টগ্রামের পাঁচ তারকা হোটেলে গাইবে সোলস।
এ উপলক্ষে আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের একটি তারকা হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সোলসের অন্য সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও শেষ মুহূর্তে থাকতে পারেননি পার্থ বড়ুয়া। ঢাকার রাস্তায় তিন ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকার পর বাসায় ফিরে যেতে হয় পার্থ বড়ুয়াকে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রথম ব্যাচের তিন শিক্ষার্থী সাজেদ, সুব্রত বড়ুয়া ও আহমেদ নেওয়াজ। এর বাইরে ছিলেন দুলু ও তপন চৌধুরী—এই পাঁচজন মিলে শুরুর দিকের ব্যান্ড সোলস। সেই সময়ের কথা মনে করে আহমেদ নেওয়াজ প্রথম আলোকে জানান, শুরুতে সোলস ভেঙে যায়। এরপর তাঁরা আবার ব্যস্ত হয়ে পড়েন নিজেদের মতো। সোলসের কিছু ইনস্ট্রুমেন্ট নিজেরাই কিনে ফেলেন। তখন সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ভর্তি হন। রনি, আহমেদ নেওয়াজ, সাজিদ। এরপর আবার শুরু করেন। এসব ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরের ঘটনা।
এই বছরে ৩ আগস্ট চারুকলা অনুষদের যাত্রা শুরু। তপন, দুলু আর রনির বাসা ছিল একই জায়গায়। কথা প্রসঙ্গে জানা গেছে, সোলস ব্যান্ড করার অনুপ্রেরণা হচ্ছে লাইটেনিংস। চট্টগ্রামের সংগীত ভবনের ওপরতলায় লাইটেনিংস নামে একটা দল ছিল, যারা বিটলসকে অনুসরণ করত। বিটলস যা যা ইনস্ট্রুমেন্টস ব্যবহার করত, লাইটেনিংস সবই করত। সোলসের সবাই তখন অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে থাকত, এত বিউটিফুল সাউন্ড কোথা থেকে আসছে। ওখান গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত। এরপর আস্তে আস্তে নিজেরা সংগঠিত হতে থাকে। ছোট ছোট বিয়ের অনুষ্ঠান ও হোটেলের অনুষ্ঠানে গান গাইতে থাকে। এভাবেই শুরু সোলসের যাত্রা।
সংবাদ সম্মেলনে