খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন উম্মে সালমা যোহরা। প্রথম দিনেই বুঝেছিলেন, তিনিই বিভাগের একমাত্র নারী শিক্ষার্থী। তাঁর কাছে অস্বস্তিকর ছিল বিষয়টি। বিভাগ পরিবর্তন করবেন কি না, সে চিন্তাও মাথায় এসেছিল। পুরোনো সেই কথা শুনে এখন উম্মে সালমার শিক্ষার্থীরা অবাক চোখে তাকায়। তাঁর ছেলে–মেয়েরাও এ নিয়ে গর্ব করে।

১৯৯৫ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিএসসি ইন বায়োটেকনোলজি’ প্রোগ্রাম চালুর মধ্য দিয়ে বায়োটেকনোলজি বিষয়ে শিক্ষার যাত্রা শুরু হয়। সে বছরই উম্মে সালমার বাবা কৃষিবিদ এম এ আহাদ খান তাঁকে এই প্রোগ্রামে পড়ার উৎসাহ দিয়েছিলেন। সেখানে পড়া শেষে বিদেশ থেকে ডিগ্রি নিয়ে ২০১২ সাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন উম্মে সালমা।

উম্মে সালমা যোহরা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাগদান সারলেন ঋতাভরী

মনোবিদ তথাগত চ্যাটার্জির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ভাঙার পর অনেক দিন নীরব ছিলেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। গত বছরের শেষের দিকে তিনি জানান, নতুন করে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন।   

সেই সময়ে প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি ঋতাভরী। এরপর ছবি প্রকাশ করে ঘোষণা দেন— তার প্রেমিকের নাম সুমিত আরোরা। তারপর এ জুটির বিয়ের খবরও চাউর হয়। কিন্তু তা অস্বীকার করেন ঋতাভরী। এবার প্রেমিক সুমিতের সঙ্গে বাগদান সারলেন এই অভিনেত্রী।

বাগদানের পর হবু বরের সঙ্গে ঋতাভরী

আরো পড়ুন:

আমি শাকিব খানকে চিনি না: লাবণী সরকার

প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা খোরপোশ নিচ্ছেন শ্রাবন্তী?

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সুমিতের সঙ্গে তোলা বেশ কিছু ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ঋতাভরী। এসব ছবির ক্যাপশনে বাগদানের ঘোষণা। তিনি লেখেন, “এবং আমি ‘হ্যাঁ’ বলেছি। কারণ আমাদের পরিকল্পনা একে অপরকে সারা জীবন বিরক্ত করার এবং ভালোবাসার। আমি ও আমার মিস্টার রাইটের বাগদান।”

এরপর থেকে শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। ভক্ত-অনুরাগীদের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও নতুন জীবনের জন্য শুভকামানা জানাচ্ছেন।

ঋতাভরীর হবু বর সুমিত আরোরা বলিউডের ব্যবসাসফল সিনেমার সংলাপ রচয়িতা। এ তালিকায় রয়েছে শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’, শ্রদ্ধা কাপুরের ‘স্ত্রী’, সামান্থা রুথ প্রভুর ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’, কার্তিক আরিয়ানের ‘চান্দু চ্যাম্পিয়ন’ প্রভৃতি।

‘ওগো বধূ সুন্দরী’ ধারাবাহিকের মাধ‌্যমে টেলিভিশনে আত্মপ্রকাশ করেন ঋতাভরী। ২০১১ সালে ‘তোমার সঙ্গে প্রাণের খেলা’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। যদিও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়নি।

ঋতাভরী চক্রবর্তী

২০১২ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘তবু বসন্ত’। ঋতাভরী অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো— ‘চতুষ্কোণ’, ‘বারুদ’, ‘পরী’, ‘শেষ থেকে শুরু’, ‘বহুরূপী’ প্রভৃতি।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ