আমিরের গোপন প্রেম কেউ কেন টের পায়নি?
Published: 17th, March 2025 GMT
বলিউড তারকারা বারান্দায় দাঁড়ালেও ক্যামেরাবন্দি হন। তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ যেন নজরবন্দি থাকে। এতটা নজরদারির মধ্যেও গৌরির সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেছেন আমির খান। অথচ এ খবর ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি কেউ। দীর্ঘ ১৮ মাস খবরটি কীভাবে গোপন রেখেছিলেন আমির খান?
এ প্রশ্নের উত্তর আমির খান নিজেই দিয়েছেন। ব্যাখ্যা করে এ অভিনেতা বলেন, “সে (গৌরি) বেঙ্গালুরুতে থাকে, কিছুদিন আগেও সেখানেই ছিল। সুতরাং তার সঙ্গে দেখা করতে উড়ে যেতাম। সেখানে গণমাধ্যমের নজরদারি কম। তাই আমরা নজরদারির বাইরেই ছিলাম।”
মায়ানগরী থেকে দূরে গিয়ে প্রেম করার কারণে কেউ টের পাননি। আবার মুম্বাইয়েও আমিরের বাড়ির দিকে বিশেষ নজর দেয়নি গণমাধ্যমকর্মীরা। এ বিষয়ে আমির খান বলেন, “আমার বাড়ির প্রতি মনোযোগ একটু কম। আপনারা সবাই আমাকে মিস করেছেন।”
আরো পড়ুন:
আমাকে প্রাক্তন স্ত্রী বলবেন না: এ আর রহমানের স্ত্রী
অসুস্থ এ আর রহমান হাসপাতালে
একষট্টিতে পা রাখার পূর্ব মুহূর্তে নতুন প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর কথা স্বীকার করেন আমির খান। গৌরি স্প্রাট বলিউডের কেউ নন। ভারতের বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা; তার মা তামিল। কিন্তু বাবা আইরিশ। তার দাদা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ফ্যাশন অ্যান্ড স্টাইলিং বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন গৌরি।
হেয়ার ড্রেসিংয়ের কাজও করেন গৌরি। মুম্বাইয়ে একটি সেলুনও পরিচালনা করেন তিনি। এখন আমির খানের প্রোডাকশন হাউজে কাজ করছেন। গৌরির ৬ বছর বয়সি একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। তবে আমির-গৌরির বিয়ের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
ব্যক্তিগত জীবনে ভালোবেসে অভিনেত্রী রিনা দত্তর সঙ্গে প্রথমবার সংসার বাঁধেন আমির খান। ১৯৮৬ সালে কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় ম্যারেজ রেজিস্টার অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন রিনা ও আমির। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই সন্তান— জুনায়েদ ও ইরা। ২০০২ সালে এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
রিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কিরণ রাওয়ের সঙ্গে আমিরের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। এই অভিনেতার ‘লগান’ সিনেমার শুটিং সেটেই তাদের পরিচয় হয়। এক সময় বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এবং ২০০৫ সালে এই জুটির বিয়ে হয়। এ সংসারে আজাদ রাও খান নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। ২০২১ সালের ৩ জুলাই যৌথ বিবৃতিতে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন এই যুগল।
তথ্যসূত্র: বলিউড শাদি ডটকম
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র খ ন ন আম র খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পয়লা বৈশাখে থাকছে র্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাব। এমনকি নববর্ষ উপলক্ষে কেউ যেন অপপ্রচার চালাতে না পারে সেজন্য সাইবার ওয়ার্ল্ডেও মনিটর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে রমনা বটমূলে নববর্ষের নিরাপত্তা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সারা দেশে ২২৪টি পিকআপ টহল, ১২২টি মোটরসাইকেল টহলসহ সর্বমোট ৩৪৬টি টহল ও সাদা পোশাকে ৪১৩ জন সহ সর্বমোট ২ হাজার ৪৪৯ জন র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে বলেও তিনি জানান।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, “বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানসমূহে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো উগ্রবাদী গোষ্ঠী, অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠন এবং রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী কুচক্রী মহল যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ”
“বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে টিএসসি, শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাতিরঝিল, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, শিশু একাডেমি এবং রমনা বটমূলসহ ঢাকার যেসকল স্থানে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, সে সকল স্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেকপোস্ট, টহল ও অবজারভেশন পোস্ট স্থাপনসহ বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে র্যাবের পক্ষ থেকে।”
বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে র্যাবের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, “বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং পরিচালনার পাশাপাশি র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড যেকোনো উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে। দেশব্যাপী নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠান চলাকালীন সার্বিক নিরাপত্তার জন্য থাকবে র্যাবের কন্ট্রোল রুম, পেট্রোল, মোটরসাইকেল পেট্রোল, চেকপোস্ট ও সিসিটিভি মনিটরিং। এছাড়া, যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স রিজার্ভ থাকবে।”
গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার জগতে মনিটরিং বৃদ্ধির মাধ্যমে নাশকতাকারীদের যেকোন ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে র্যাব প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ভার্চুয়াল জগতে নববর্ষকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের গুজব, উস্কানিমূলক তথ্য, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য র্যাব সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রাখছে।”
বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে আগত নারীদের উত্যক্ত, ইভটিজিং বা যৌন হয়রানি রোধকল্পে মোবাইলকোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, “কেউ কোনো ধরনের হেনস্থার স্বীকার হলে অবশ্যই কর্তব্যরত র্যাব সদস্যদেরকে জানাবেন। আমরা কঠোর হস্তে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”
ঢাকা/এমআর/ইভা