ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের তারকা খেলোয়াড় হামজা। পুরো নাম দেওয়ান হামজা চৌধুরী। তিনি এখন থেকে খেলবেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের পক্ষে। আজ সোমবার দেশে এসেই তিনি প্রথমে যাবেন তাঁর গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে। হামজার আগমনের খবরে গ্রামের সবার মধ্যে উৎসবের আমেজ। তাঁকে একনজর দেখার জন্য অপেক্ষায় আছেন এলাকার লোকজন।

পুরো স্নানঘাট সেজেছে নানা রূপে। তোরণ, ফেস্টুন ও ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো গ্রাম। হামজাকে স্বাগত জানাতে এসব প্রস্তুতি এলাকার মানুষের।

দেওয়ান হামজা চৌধুরী হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামের বাসিন্দা দেওয়ান গোলাম মোর্শেদ চৌধুরী ও রাফিয়া চৌধুরী ছেলে। হামজার জন্ম ইংল্যান্ডের লাফবোরো শহরে। খেলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটিতে। এবার ধারে খেলছেন শেফিল্ড ইউনাইটেডে।

হামজার বাবা দেওয়ান গোলাম মোর্শেদ চৌধুরী বেশ কিছুদিন আগেই দেশে এসেছেন। তিনি জানান, আজ বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট বিমানবন্দরে নামবেন হামজা। হামজা ও তাঁর পরিবারের ইচ্ছাতে ঢাকায় নয়, সরাসরি তাঁর গ্রামের বাড়িতে আসছেন হামজা। এ সফরে হামজার সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদেরও আসার কথা রয়েছে।

হবিগঞ্জে নিজ গ্রামে যাচ্ছেন ফুটবলার হামজা চৌধুরী.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পূর্ণসেবা ও নতুন শিষ্যত্ব দিয়ে ভাঙল সাধুর হাট

সাধুসঙ্গ, রাখালসেবা, অধিবাস, পূর্ণসেবাসহ নানা রীতি ও অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে সাঙ্গ হলো ফকির লালন শাহ স্মরণোৎসব। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অষ্টপ্রহরব্যাপী গুরুকার্যের মাধ্যমে শুরু হয় সাধুসঙ্গ। সর্বশেষ শক্রবার দুপুরে লালন ভক্ত সাধু-গুরুদের পূর্ণসেবার মাধ্যমে উৎসব শেষ হয়েছে। সকালে বাল্যসেবায় পায়েস ও মুড়ি দেওয়া হয় ফকির বাউল ভক্তদের। দুপুরে পূর্ণসেবায় ছিল ভাত, ডাল, সবজি, মাছ ও দই। এর পর লালন মতে দীক্ষিতদের খেলাফত (শিষ্যত্ব) প্রদান করেন তাদের নিজ নিজ গুরুরা। 

দোল পূর্ণিমা তিথিতে প্রতি বছর ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে তিন দিনব্যাপী সাড়ম্বরে উদযাপিত হয় ফকির লালন শাহর স্মরণোৎসব। সাধু-গুরু, লালন ভক্তদের সরব উপস্থিতি, গান ও গ্রামীণ মেলায় জমজমাট হয়ে ওঠে আখড়াবাড়ি প্রাঙ্গন। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লালন একাডেমি এ উৎসবের আয়োজন করে। এবার রমজানের কারণে এক দিনই লালন স্মরণোৎসব হয়েছে। ছিল না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রামীণ মেলার আয়োজন। ফলে উৎসবে লালন ভক্ত বাদে অন্য লোকজনের উপস্থিতিও ছিল কম।   

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে লালন একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভার মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন করেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। ওই দিন রাত ১১টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আখড়াবাড়িতে খণ্ড খণ্ড দলে ভাগ হয়ে আসর বসিয়েছেন বাউল সাধুরা। একতারা বাজিয়ে গানে গানে তারা স্মরণ করছেন ফকির লালন শাহকে। এ সময় তেমন ভিড় চোখে পড়েনি। 

উৎসবে আগত ফকির রাজ্জাক শাহ বলেন, ‘সাঁইজি (ফকির লালন) পূর্ণিমা তিথিতে সাধুসঙ্গ করতেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমরাও এমন আয়োজন চালিয়ে যাচ্ছি। অষ্টপ্রহরব্যাপী গুরুকার্য, রাখালসেবা, অধিবাস, বাল্যসেবা ও পূর্ণসেবার মাধ্যমে সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠিত হয়। এবার সাধুসঙ্গে আসল বাউলরা অংশ নেওয়ায় কোনো ভিড় বা ঠেলাঠেলি ছিল না। এতে খুশি আমরা।’

ফকির হৃদয় শাহ বলেন, ‘আমরা চাই পারস্পরিক উৎসবে আসা সবার মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হোক। প্রেমের জায়গা গভীর হোক ও ঘৃণা দূর হোক। দোল পূর্ণিমা তিথিতে লালন শাহ তাই করতেন।’

আখড়াবাড়ির ভারপ্রাপ্ত খাদেম মশিউর রহমান বলেন, দুপুরে পূর্ণসেবার মাধ্যমে শেষ হয়েছে সাধুসঙ্গ। এবারও লালন ভক্ত অনুসারীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল আখড়াবাড়ি। আসছে ১ কার্তিক ফকির লালনের তিরোধান দিবসে আবার মিলনমেলায় শরিক হবেন লালন ভক্ত ও প্রেমীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সম্প্রীতির ইফতার
  • হামজা চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি ফেরা নিয়ে উৎসবের আমেজ
  • মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব উদযাপন ফ্রন্ট’র নতুন কমিটির আত্মপ্রকাশ
  • বাঙালির রঙের উৎসব দোল পূর্ণিমা
  • চাঁদপুরে দোল উৎসবের সময় মন্দিরে ঢিল, এক পুণ্যার্থী আহত
  • হোলি উৎসবে বন্ধ হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি
  • প্রথমবার কানে যাচ্ছেন আলিয়া
  • সিয়াম চমক, বুবলীর ঝলক
  • পূর্ণসেবা ও নতুন শিষ্যত্ব দিয়ে ভাঙল সাধুর হাট