সাদা কাপড় বাটিকে রঙিন হয় যে গ্রামে
Published: 17th, March 2025 GMT
কমলপুর কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ছোট্ট একটি গ্রাম। আয়তনে ছোট হলেও দেশজুড়ে কমলপুর গ্রামের বেশ পরিচিতি। কারণ, বাটিক পোশাকের গ্রাম বা বাটিকপল্লি হিসেবে নাম কুড়িয়েছে এটি। এখানকার বাসিন্দারা সারা বছরই বাহারি বাটিকের পোশাক তৈরি করেন। তবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে এই বাটিকপল্লিতে কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায় বহুগুণে।
কমলপুর গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়ল বাটিকপল্লির কর্মব্যস্ততা। তৈরি হচ্ছে রংবেরঙের বাটিকের পোশাক। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে এ বছর নানা ধরনের নকশায় তৈরি করা হচ্ছে বাটিক শাড়ি ও থ্রি-পিস। সাদা কাপড়ের মধ্যে ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা আর ক্রেতার চাহিদার কথা ভেবে নিত্যনতুন নকশা ফুটিয়ে তুলছেন কারিগরেরা।
কমলপুর বাটিকপল্লির তিনটি কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, প্রথমে প্রিন্ট করার জন্য কাপড় কেটে প্রস্তুত করা হয়। এরপর মোম দিয়ে সেই কাপড়ে নানা ধরনের নকশা করেন কারিগরেরা। রঙের স্থায়িত্ব বাড়াতে রং করার পর কাপড় সেদ্ধ করে একটি দল। সেখান থেকে তুলে কাপড়ে মাড় দিচ্ছে আরেক দল। এরপর সেই কাপড় কয়েক দফা পানিতে ধুয়ে মাঠে রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। শুকানোর পর কাপড় ইস্তিরি করে বাজারজাত করার জন্য তৈরি করা হয়।
বাটিকের সিল্ক ও সুতি শাড়ি, থ্রি-পিস, শার্ট, লুঙ্গি, বেডশিট, গজ কাপড়সহ বিভিন্ন পণ্য তৈরির জন্য এই গ্রামে অন্তত ১০টি কারখানা আছে। শুরুটা কমলপুর থেকে হলেও এখন আশপাশের কয়েকটি গ্রামেও বাটিকের পোশাক তৈরি হচ্ছে। তবে গুণে ও মানে এখনো সেরা বলে ক্রেতার পছন্দের শীর্ষে কমলপুরের বাটিকের পণ্য।
কমলপুর বাটিকপল্লির একটি কারখানার মালিক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
প্যালেসকে ধসিয়ে লিগে সেরা চারে ম্যানসিটি
মৌসুমে সব কিছু হারিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির চোখ এখন আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। সেজন্য লিগ টেবিলে সেরা চারে থাকা লক্ষ্য তাদের। যদিও পাঁচে থাকলেও চলবে। ওই লক্ষ্যে নেমে লিগের ৩২তম রাউন্ডে ঘরের মাঠে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সিটিজেনরা।
লিগ টেবিলে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে সেরা চারে ঢুকেছে পেপ গার্দিওলার দল। অবশ্য সমান ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে থাকা চেলসির চেয়ে এক ও ছয়ে থাকা নিউক্যাসলের চেয়ে দুই ম্যাচ বেশি খেলেছে ম্যানসিটি।
ঘরের মাঠ ইতিহাদে শুরুতে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যানসিটি। ম্যাচের ৮ মিনিটে এজে ও ২১ মিনিটে রিচার্ড ক্রিস্টাল প্যালেসকে এগিয়ে নেন। এরপর মরণ কামড় দিয়েছে গার্দিওলার দল। ৩৩ মিনিটে সরাসরি ফ্রি কিকে গোল করেন ডি ব্রুইনি। ৩৬ মিনিটে ইলকে গুন্ডোয়ানের পাসে গোল করে দলকে সমতায় ফেরেন নতুন মিশরীয় রাজা ওমর মারমুশ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লিড নেয় ম্যানসিটি। ৪৭ মিনিটে দলকে ৩-২ গোলে এগিয়ে নেন মাতেও কোভাসিচ। এরপর ৫৬ মিনিটে সিটিজেনদের পক্ষে চতুর্থ গোল করেন ম্যাকএটি। তার গোলে সহায়তা দেন দলটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদেরসন। প্রিমিয়ার লিগে গোলরক্ষক হিসেবে সপ্তম অ্যাসিস্ট নিয়ে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। শেষ গোলটি আসে ৭৯ মিনিটে ও’রেলির পা থেকে।
এ নিয়ে চলতি মৌসুমে ম্যানসিটি ৩২ ম্যাচে ১৬টিতে জয় পেয়েছে। হেরেছে ৯টি। বাকি ৭ ম্যাচে ড্র করেছে তারা। ম্যানসিটি তিনে থাকা নটিংহাম ফরেস্ট, পাঁচে থাকা চেলসি, ছয়ে থাকা নিউক্যাসল ও সাতে থাকা অ্যাস্টন ভিলার চেয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে আছে। যেটা পেপ গার্দিওলার দলের জন্য প্লাস পয়েন্ট।