যশোরে শিশুকন্যার গলায় ছুরি ধরে মাকে ধর্ষণের চেষ্টা
Published: 17th, March 2025 GMT
যশোরে চার বছর বয়সী কন্যার গলায় ছুরি ধরে মাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে তিন দুর্বৃত্ত। পরে ওই নারীর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আহত নারীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ মার্চ) রাতে যশোর শহরতলীর বিরামপুরে এই ঘটনা ঘটে।
ওই নারীর স্বজনরা জানিয়েছেন, আলমগীর নামে এক প্রতিবেশির ছেলে হাসান ওই নারীর ছোট ভাইয়ের বন্ধু। সে সুবাদে মাঝেমধ্যে তার বোনের বাড়িতে আসতো। রবিবার সন্ধ্যার পর হাসান ওই নারীর (২৬) ঘরে নিজের মোবাইল ফোন চার্জ দিয়ে যায়। রাত সাড়ে আটটার দিকে আরও দুজনকে নিয়ে হাসান ওই বাসায় যায়। এসময় ওই নারী রান্না করছিলেন। দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে তার চার বছর বয়সী কন্যার গলায় ছুরি ধরে ওই নারীকে ধর্ষণে উদ্যত হলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এসময় ওই নারী চিৎকার করতে থাকলে দুর্বৃত্তরা তার মুখে কাপড় ঢুকিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী ছুটে আসলে ওই নারীর বাঁ হাতে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এলাকাবাসী ওই নারীকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি কাজী বাবুল হাসপাতালে বলেন, “ঘটনার সময় তিনজন ছিল বলে ওই নারী জানিয়েছেন। এখনো কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশ অপরাধীদের ধরতে মাঠে নেমেছে।”
ঢাকা/রিটন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বরিশালে গণপিটুনিতে শিশু নিপীড়নে অভিযুক্ত যুবকের মৃত্যু
বরিশাল নগরীতে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত সুজন নামে এক যুবক স্থানীয়দের গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যার পর সুজন নগরীর ধান গবেষণা রোড এলাকায় গণপিটুনির শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ৮ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, গণপিটুনিতে আহত হওয়ার পর হাসপাতালে সুজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জেরে সুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক শিশুর বাবা ।
ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ওই শিশুটি একটি রান্নার পাত্র ফেরত দিতে প্রতিবেশী সুজনের ঘরে যায়। এসময় ঘরে একা থাকা সুজন ওই শিশুকে ধর্ষণের চেস্টা চালায়। এসময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে সুজন দ্রুত দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা কোতয়ালী মডেল থানায় সুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পর পুলিশ ওই এলাকায় তদন্তে যায়। পুলিশ তদন্তে আসার খবরে স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তুলে দিতে সুজনকে আটক করে রাখে। এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হয় সুজন। এ অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কিছুক্ষণ পরই সুজন মারা যায়।
সুজনের স্বজনদের দাবি, পূর্ব শত্রুতার জেরে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন সুজনের স্বজনরা।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার এস আই মানিক সাহা বলেন, “নিহতের লাশ শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “ভুক্তভোগী শিশুর বাবার করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলছে। অন্যদিকে গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায়ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো কেউ আটক হননি।”
ঢাকা/পলাশ/টিপু