লা লিগায় শিরোপার লড়াইয়ে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিল বার্সেলোনা। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে ৪-২ গোলের জয় তুলে নিয়েছে কাতালান ক্লাবটি। ফেররান তরেসের জোড়া গোল ও লামিন ইয়ামালের চমক দলকে এনে দিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট।  

রিয়াদ এয়ার মেট্রোপলিটানে ম্যাচের শুরুটা ছিল স্বাগতিকদের নিয়ন্ত্রণে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড জুলিয়ান আলভারেজের গোলে এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। বিরতির পর ৭০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আলেক্সান্ডার সরলথ। তবে এরপরই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় বার্সেলোনা। এক মিনিটের ব্যবধানে প্রথম গোল শোধ করেন রবার্ট লেভান্ডোভস্কি। ৭৮ মিনিটে সমতা ফেরান বদলি হিসেবে নামা তরেস।  

ম্যাচ যখন ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছে, তখন অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বাঁ-পায়ের দারুণ শটে গোল করেন তরুণ উইঙ্গার লামিন ইয়ামাল। এরপর যোগ করা সময়ের শেষ দিকে ফেররান তরেস নিজের দ্বিতীয় গোল করে জয় নিশ্চিত করেন বার্সার।  

এই জয়ে ২৭ ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার পয়েন্ট দাঁড়াল ৬০-এ। সমান পয়েন্ট রিয়াল মাদ্রিদেরও, তবে তারা এক ম্যাচ বেশি খেলেছে। গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শীর্ষে উঠে এসেছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। অন্যদিকে, ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠক আজ

দেড় দশক পর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। এতে অবিভক্ত পাকিস্তানের সম্পদ থেকে ন্যায্য হিস্যা হিসেবে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করবে বাংলাদেশ।

তহবিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন খাতের হিস্যা হিসেবে এই অর্থ বাংলাদেশ পাবে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বাংলাদেশ এবং আমনা বালুচ পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দু’দেশের সম্পর্কের নানা বিষয়সহ ঐতিহাসিক অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে। 

সর্বশেষ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল ২০১০ সালে।

বৈঠক উপলক্ষে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ গতকাল বুধবার ঢাকায় আসেন। আজ সকালে তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন। মধ্যাহ্নভোজের পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং এর পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। গতকাল আমনা বালুচ ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত দেশটির ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে ১৯৭১ পূর্ববর্তী সময়ের হিস্যা অনুসারে  ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার পাবে। এর একটি বড় অংশ ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পাঠানো হয়েছিল। জানা গেছে, ২০ কোটি ডলারের বৈদেশিক সহায়তা এসেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঢাকা শাখা থেকে এই অর্থ লাহোর শাখায় সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া পাকিস্তান ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসা সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সঞ্চয়পত্রের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। 

পরিকল্পনা কমিশনের মতে, সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা ৯০ লাখ টাকা আটকে রেখেছিল পাকিস্তান সরকার। যুদ্ধকালে রূপালী ব্যাংকের করাচি শাখায় রাখা ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকাও ফেরত আসেনি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থের অর্ধেক ৪৩৫ কোটি রুপির দাবিদার বাংলাদেশ। পাকিস্তানের ব্যাংকিং বিভাগ থেকেই বাংলাদেশ পাবে প্রায় ৬০ কোটি রুপি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ