হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
Published: 17th, March 2025 GMT
লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা চালানো বন্ধের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় রবিবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই ঘোষণা দেন। সোমবার (১৭ মার্চ) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে হুতিরাও পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র হামলা বন্ধ না করলে তারাও পাল্টা হামলা অব্যাহত রাখবে।
আরো পড়ুন:
বাধ্যতামূলক ছুটিতে ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ কর্মী
‘কানাডা কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না’
শনিবার রাতে ইয়েমেনের হুতিদের বিভিন্ন নিশানায় হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। হামলায় এরই মধ্যে অন্তত ৫৩ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে হুতি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের মধ্যে পাঁচ শিশু ও দুজন নারী রয়েছে। হামলায় আহত হয়েছে ৯৮ জন। সাধারণ মানুষের প্রাণহানি নিয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্য করেনি পেন্টাগন।
গত জানুয়ারি মাসে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর মধ্যপ্রাচ্যে হুতিদের বিরুদ্ধে চলমান এই হামলাই এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ফক্স নিউজের ‘সানডে মনিং ফিউচারসে’ বলেছেন, ‘হুতিরা যখনই বলবে আমরা আপনাদের জাহাজে হামলা বন্ধ করব, তখনই আমরা তাদের ড্রোনে গুলি করা থামিয়ে দেব। (তারা জাহাজে হামলা বন্ধের ঘোষণ দিলে) এই অভিযান শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
পিট হেগসেথ বলেন, ‘বিষয়টি হলো গুরুত্বপূর্ণ জলপথে আমাদের সম্পদ নিশানা করে হামলা বন্ধ করতে হবে যাতে করে জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা পুনরায় চালু করা যায়, এটা যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্বার্থ। ইরান হুতিদের দীর্ঘদিন ধরে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে, তা বন্ধ করতে হবে।’
শনিবার হুতিদের লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যথায় তিনি তাদের ‘নরক বৃষ্টির’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ট্রাম্প তেহরানকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র আপনাদের সম্পূর্ণ জবাবদিহির আওতায় আনবে। এটি কিন্তু আপনাদের জন্য ভালো হবে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা রবিবার রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তাদের উড়োজাহাজগুলো হুতিদের ১১টি ড্রোন গুলি করে নষ্ট করে দিয়েছে। এসব ড্রোনের কোনটি হ্যারি এস.
এদিকে, হুতি নেতা আব্দুল মালিক আল-হুতি রবিবার বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে হামলা অব্যাহত রাখলে লোহিত সাগরে দেশটির জাহাজ লক্ষ্য করে আমাদের হামলাও জারি থাকবে। তারা যদি তাদের আগ্রাসন অব্যাহত রাখে, আমরাও জবাব দেওয়া জারি রাখব।’
ইরানের বিপ্লবী গার্ডের শীর্ষ কমান্ডার হোসেইন সালামি যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির জবাবে বলেছেন, ‘আমরা শত্রুদের সতর্ক করে বলতে চাই, তারা যদি তাদের হুমকি বাস্তবায়ন করে, আমরা দৃঢ়ভাবে তার ভয়াবহ জবাব দেব।’
হুতি রাজনৈতিক ব্যুরো যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছে।
এক দশকের বেশি সময় ধরে ইয়েমেনে সশস্ত্র সংগ্রাম করছে হুতিরা। ইয়েমেনের অধিকাংশ অঞ্চলই এখন তাদের দখলে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েরি হামলা শুরু হলে এর প্রতিবাদে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে তারা ১০০ এর বেশি হামলা চালিয়েছে।
এরপর হুতিদের থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে হামলা শুরু হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। তাই নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এসে আবারও হুতিদের ওপর হামলার নির্দেশ দিলেন।
ঢাকা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কোটালীপাড়ায় ক্লিনিক মালিক সমিতির ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত
পবিত্র রমজান উপলক্ষে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক সমিতির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার মুনা জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ মাহফিলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান শুভ, কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কুমার মৃদুল দাস, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এম এম ফারুক হোসাইন, কনসালটেন্ট ডা. অরূপ রতন বাড়ৈসহ ক্লিনিক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোটালীপাড়া বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি বুলবুল আলম ফিরোজ। সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ লাল দাস, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসি উদ্দিন দাড়িয়াসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, ইমাম ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এতে অংশ নেন।
ইফতারের আগে মাহে রমজানের তাৎপর্য, আত্মসংযম, তাকওয়া ও দান-সদকার গুরুত্ব নিয়ে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন, “রমজান শুধু উপবাসের মাস নয়, এটি আত্মশুদ্ধি, সহমর্মিতা ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক অনন্য সুযোগ। এই মাসে নেক আমলের সওয়াব বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়, তাই আমাদের উচিত বেশি বেশি ইবাদত ও মানবসেবায় নিয়োজিত থাকা।”
পরে দেশ ও জাতির শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে সকলের গুনাহ মাফ, রহমত ও মাগফিরাত লাভ এবং সমাজে শান্তি-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য দোয়া করা হয়।