সেই প্রকৌশলীর জব্দ ৩৭ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমার নির্দেশ
Published: 17th, March 2025 GMT
নাটোরের সিংড়ায় গাড়ি তল্লাশির সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ গাইবান্ধার (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছাবিউল ইসলামের গাড়ি থেকে জব্দ করা প্রায় ৩৭ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার বিকেলে নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহান এই নির্দেশ দেন।
এই ঘটনায় দায়ের হওয়া সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্তকারী কর্মকর্তা সিংড়া থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজু আহমেদ জব্দ করা টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ চেয়ে রোববার দুপুরে আদালতে আবেদন করেন। তার প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক জব্দ করা প্রায় ৩৭ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একরামুল হক জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা একটি প্রাইভেটকার রাজশাহী যাচ্ছিল। পথে নাটোরের সিংড়ার চলনবিল গেট এলাকায় পুলিশের চেকপোস্টে প্রাইভেটকারটিতে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় প্রাইভেটকারটির পেছনে ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা দেখে প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামের কাছে টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
পুলিশ সুপার জানান, এ সময় ছাবিউল ইসলাম টাকাগুলো জমি বিক্রির টাকা বলে দাবি করলেও কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। পরে যৌথবাহিনী ওই টাকা ও টাকা বহনকারী গাড়িটি জব্দ করে। সেই সঙ্গে প্রকৌশলীসহ প্রাইভেটকার ও তার ড্রাইভারকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
পরে শুক্রবার বিকেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তের জন্য ডাকলে যেকোনো সময় হাজির হতে বাধ্য থাকবেন তিনি এমন মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতার দ্বন্দ্ব নিরসনে পদোন্নতির নিয়ম সংস্কার হচ্ছে
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতার দ্বন্দ্ব নিরসনে পদোন্নতির নিয়মে সংস্কার আনতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার সিন্ডিকেটের ২৩৫তম সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছর ৬ জুন তৎকালীন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ২৩২তম সিন্ডিকেটে শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে একটি আইন করা হয়; এটি আগে ছিল না। কয়েকজন শিক্ষকের পরামর্শে ভিন্নমতাবলম্বী শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা না দিতে উপাচার্য এই কালোআইন করেছিলেন বলে শিক্ষকদের অভিযোগ। ওই নিয়মানুযায়ী, যেসব শিক্ষক অধ্যাপকের দ্বিতীয় গ্রেডের যোগ্যতা পূরণের পর যথাসময়ে আবেদন করবেন, তাঁরা প্রাপ্যতার দিন থেকে দ্বিতীয় গ্রেডের জ্যেষ্ঠতা ও আর্থিক সুবিধা প্রাপ্য হবেন। দেরি করে আবেদনকারী শিক্ষকদের দ্বিতীয় গ্রেডের জ্যেষ্ঠতা ও আর্থিক সুবিধা সিন্ডিকেটের পর দিন থেকে কার্যকর হবে।
এই নিয়মের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষকের মধ্যে জ্যেষ্ঠতার দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। বিষয়টি নিয়ে ‘শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতার দ্বন্দ্বে বিভাগীয় প্রধান হলেন সহ-উপাচার্য’ শিরোনামে ১১ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর এ নিয়মের সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিন্ডিকেটের এক সদস্য জানান, অধ্যাপকদের জ্যেষ্ঠতার নিয়মটি সংস্কার করা হয়েছে। নতুন নিয়মানুযায়ী, দ্বিতীয় গ্রেডে জ্যেষ্ঠতা প্রাপ্তির যথা সময়ে শিক্ষকেরা আবেদন করবেন, এটাই কাঙ্ক্ষিত। যদি কেউ যথাসময়ে আবেদন না করেন, যখন আবেদন জমা পড়বে সেই তারিখ থেকে আবেদনকারী শিক্ষকের দ্বিতীয় গ্রেডে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য সাজেদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, নতুন নিয়মানুযায়ী শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ হবে। সিন্ডিকেটের পূর্ণাঙ্গ রেজল্যুশন বের হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বোঝা যাবে।