ঘুরে দাঁড়ানোর কাকে বলে দেখিয়ে দিল বার্সেলোনা
Published: 17th, March 2025 GMT
ওপর-নিচ কোলাজ করা দুটি ছবি। ওপরেরটিতে দেখা যাচ্ছে ৭২ মিনিটে ২-০ গোলে পিছিয়ে বার্সেলোনা। আর নিচেরটিতে দেখা যাচ্ছে ৯৮ মিনিটে উল্লাসরত বার্সা এগিয়ে ৪-২ গোলে। বার্সেলোনার ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এই ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‘এটা সেটাই, যেটিকে আপনারা ঘুরে দাঁড়ানো বলেন।’
হ্যাঁ, আক্ষরিক অর্থেই গতকাল রাতে রিয়াদ এয়ার মেত্রোপলিতানোতে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর নতুন এক গল্প লিখেছেন লামিনে ইয়ামাল-ফেরান তরেসরা।
যেখানে ৭২ মিনিটে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে হারতে থাকা বার্সা শেষ পর্যন্ত জিতেছে ৪-২ গোলে। তাও জয়সূচক গোল দুটি এসেছে যোগ করা সময়ে। অবিশ্বাস্যই বটে। এই রূপকথার গল্প লেখার কৃতিত্বটা দিতে হবে ইয়ামাল ও তরেসকে। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে অসাধারণ এক গোল করে ম্যাচে প্রথমবারের মতো বার্সাকে এগিয়ে দেন ইয়ামাল।
৬ মিনিট পর সেই ইয়ামালের অ্যাসিস্টে ব্যবধান ৪-২ করেন তরেস। ৭৮ মিনিটে এই তরেসের গোলেই সমতায় ফিরেছিল বার্সা। সব মিলিয়ে অনবদ্য এক থ্রিলার লিখে শিরোপা লড়াইয়ে নিজেদের দাবিটা বেশ উঁচু স্বরেই জানিয়ে রাখল বার্সা। আর জিততে জিততে হেরে যাওয়া আতলেতিকো ট্রফির লড়াই থেকে খানিকটা পিছিয়েই পড়ল।
আরও পড়ুনলা লিগার শিরোপা লড়াইয়ে বার্সেলোনার আজ অগ্নিপরীক্ষা১৩ ঘণ্টা আগেথ্রিলার লিখে জেতার পর পয়েন্ট তালিকায় এক ম্যাচ হাতে রেখে এখন সবার ওপরে উঠে গেছে বার্সা। ২৭ ম্যাচে বার্সার পয়েন্ট এখন ৬০। ২৮ ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্টও ৬০। কিন্তু গোল ব্যবধানে বার্সার (+৪৮) চেয়ে রিয়াল (+৩২) বেশ পিছিয়ে। আর তিনে থাকা আতলেতিকোর পয়েন্ট ২৮ ম্যাচে ৫৬।
এই মৌসুমে গতকালের আগে আতলেতিকোর বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলে কোনোটিতেই জিততে পারেনি বার্সা। লা লিগায় ঘরের মাঠে বার্সা হেরেছিল ২-১ গোলে, আর কোপা দেল রেতে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ম্যাচ ড্র হয়েছে ৪-৪ গোলে। এমন পরিস্থিতিতে আতলেতিকোর মাঠে কিছুটা সতর্ক থেকেই মাঠে নামতে হয় বার্সাকে। যদিও কোনো সতর্কতাই প্রথমার্ধে কাজে আসেনি। হুলিয়ান আলভারেজের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে করা গোলে প্রথমার্ধের শেষ দিকে পিছিয়ে পড়ে বার্সা।
দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও জিততে পারল না আতলেতিকো.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আতল ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
নিগারদের যেন রেকর্ড ভাঙা–গড়ার নেশায় পেয়েছে
ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে দারুণ ব্যাট করছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। পাকিস্তানের মেয়েদের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে নিগাররা তুলেছিলেন ২৭৬ রান—আনঅফিশিয়াল ম্যাচ হওয়ায় যেটা রেকর্ড হয়নি। কীসের রেকর্ড? বাংলাদেশের মেয়েদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড।
তবে বাছাইপর্বে লাহোরে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নেমেই রেকর্ডটি গড়েন নিগাররা। গত বছর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫২ রানের রেকর্ড ভেঙে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল তুলেছিল ২৭১ রান। আজ সেই লাহোরেই বাছাইপর্বে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে সে রেকর্ডও ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছে লাল–সবুজের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুনবিসিবিতে হঠাৎ দুদক, তিন বিষয়ে তদন্ত১ ঘণ্টা আগেলাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ২৭৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মেয়েদের ওয়ানডে ইতিহাসে এটিই এখন সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার আজও বড় রান পেয়েছেন। ১১ চারে ৫৯ বলে ১৪০.৬৭ স্ট্রাইকরেটে করেন অপরাজিত ৮৩ রান।
আরও দুটি ফিফটি আছে বাংলাদেশের ইনিংসে। ওপেনার ফারজানা হক করেন ৮৪ বলে ৫৭ এবং শারমিনের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৯ বলে ৫৭ রানের ইনিংস। থাইল্যান্ডের বিপক্ষেও বাংলাদেশের এ তিন ব্যাটার রান পেয়েছিলেন। সে ম্যাচে নিগারের ১০১ রানের পাশাপাশি শারমিন ৯৪ রানে অপরাজিত ছিলেন এবং ফারজানা করেন ৫৩।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল মন্থর। ১৪ রান করা ওপেনার ইশমা তানজিম ৮.৩ ওভারে যখন আউট হন, বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেটে ৩৫। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশ ইনিংসের ভিত গড়েন শারমিন ও ফারজানা। ১২৭ বলে ১০৩ রানের জুটি গড়েন দুজন, যেখানে ফারজানার অবদান ৪৮ বলে ৪০ ও শারমিনের ৭৯ বলে ৫৭।
আরও পড়ুনর্যাঙ্কিংয়েও সুখবর, ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ অবস্থানে নিগার, শারমিন ও রাবেয়া২ ঘণ্টা আগেত্রিশতম ওভারে শারমিন আউট হওয়ার পর আট ওভারের মধ্যে ফারজানা ও সোবহানা মোস্তারিও (৯) আউট হন। ৩৭.৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর তখন ৪ উইকেটে ১৭৬।
এখান থেকে পঞ্চম উইকেটে রিতু মনির সঙ্গে ৩৭ এবং ষষ্ঠ উইকেটে ফাহিমার সঙ্গে ৪৪ বলে ৬১ রানের জুটি গড়েন নিগার। ২২ বলে ২৬ রান করেন ফাহিমা। ১৬টি ওয়াইড দিয়েছেন স্কটল্যান্ডের বোলাররা।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এ পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। থাইল্যান্ডকে ১৭৮ রানে হারানোর পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২ উইকেটে জেতে নিগারের দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৭৬/৬ (নিগার ৮৩*, শারমিন ৫৭, ফারজানা ৫৭, ফাহিমা ২৬; ব্রাইস ২/৫৩, র্যাচেল ১/৩৩, চোলে ১/৩৭, প্রিয়ানাজ ১/৩৪)।