বলিউড অভিনেত্রী রাভিনা ট্যান্ডন। ব্যক্তিগত জীবনে চলচ্চিত্র পরিবেশক অনিল থাদানির সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। এ দম্পতির রাশা থাদানি ও রণবীর নামে এক কন্যা-পুত্র সন্তান রয়েছে। পদ্মশ্রী জয়ী রাভিনার কন্যা রাশা চলতি বছরের শুরুতে বলিউডে পা রেখেছেন।  

অভিনেত্রী রাভিনার বাবার নাম রবি ট্যান্ডন। তিনিও প্রখ্যাত পরিচালক-প্রযোজক। জীবদ্দশায় নানাভাবে মেয়েকে পথ দেখিয়েছেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ার ও অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে মেয়েকে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন রাভিনা। মায়ের পরামর্শকে ‘গোল্ডেন অ্যাডভাইস’ বলে মন্তব্য করেছেন রাশা।

কিছুদিন আগে ফিল্ম ফেয়ারকে সাক্ষাৎকার দেন রাশা থাদানি। মায়ের মূল্যবান পরামর্শের বিষয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “কেবল চলচ্চিত্রেই নয়, সাধারণ জীবনেও বিনয়ী হওয়া জরুরি। তবে আমার নানা আমাকে যে কথা বলেছিলেন, আমার মা-ও তা মেনে চলেছেন। আমার সঙ্গেও তা পুনরাবৃত্তি করেছেন। আর তা হলো— ‘সেটে পরিচালক হলেন বস। তুমি শুধু চুপচাপ শুনবে। কোনো মতামত দেওয়ার দরকার নেই, না। তোমাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে, পরিচালক যা বলেন তা শুনতে হবে। কারণ তার একটি লক্ষ্য আছে এবং তিনি জানেন তিনি কী করছেন।”

‘আজাদ’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছে রাশা থাদানির। সিনেমাটির ট্রেইলারে মুগ্ধতা ছড়ান এই অভিনেত্রী। যদিও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর সাড়া ফেলতে পারেনি অভিষেক কাপুর পরিচালিত এই সিনেমা। এতে রাশার বিপরীতে অভিনয় করেন অজয় দেবগনের ভাগনে আমান দেবগন।

রাবিনা ট্যান্ডনের কন্যার আসল নাম রাশা নয়। জন্মের পর তার নাম রাখা হয়েছিল রাশাবিশাখা। ‘রাশা’ শব্দের অর্থ বৃষ্টির প্রথম ফোঁটা এবং ‘বিশাখা’ শব্দের অর্থ শিব।

পড়াশোনার পাশাপাশি সংগীতের প্রতি রাশার আগ্রহ রয়েছে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মিউজিক কনসার্টেও দেখা যায় তাকে। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারেন রাশা। গানও গাইতে পারেন ১৯ বছরের এই অভিনেত্রী। সংগীত এবং থিয়েটারের প্রতি তার এই ভালোবাসার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব রাশা তার নানা রবি ট্যান্ডনকে দিয়েছেন।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘তিনটে ছেলে-মেয়ে এতিম হয়ে গেছে, স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার চাই’

রাজকী বেগমের চোখের সামনে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। তাঁর ছেলেমেয়েদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহাজারি করতে করতে রাজকী বেগম বলছিলেন, ‘আমার তিনটে ছেলে-মেয়ে এতিম হয়ে গেছে, আমার স্বামী হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই।’

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার শিলিমপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত শনিবার সকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাজকী বেগমের স্বামী হাসিম মোল্যা (৩৮)। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল রোববার বিকেলে গ্রামের বাড়িতে হাসিম মোল্যার মরদেহ এসে পৌঁছায়। আসরের নামাজ পর জানাজা শেষে স্থানীয় বাগমারা কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালিয়ার হামিদপুর ইউনিয়নের শিলিমপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে ঠান্ডু মোল্যা ও জনি মোল্যা পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ১৩ জন ও ২ পুলিশ সদস্য আহত হন৷ স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে গুরুতর আহত জনি মোল্যা ও তাঁর ভাই হাসিম মোল্যাকে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসিম মোল্যা মারা যান। ওই ঘটনায় সিরাজ মোল্যা ও আজিজার শেখ নামের দুজনকে ১টি একনলা বন্দুক, ২০টি গুলিসহ আটক করা হয়।

গতকাল বিকেলে শিলিমপুরে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার পরিবেশ থমথমে। নিহত ব্যক্তির প্রতিপক্ষ ঠান্ডু মোল্যা পক্ষের কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর ও পোড়ানো হয়েছে। মরদেহ আসার খবরে আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় লোকজন ভিড় করেছেন হাসিম মোল্যাদের বাড়িতে। অঝোরে কাঁদছেন বৃদ্ধ মা জাহিদা বেগম। তাঁর পাশেই কাঁদছেন হাসিম মোল্যার স্ত্রী রাজকী বেগম।

রাজকী বেগমের অভিযোগ, বাড়ির পাশে তাঁর সামনেই প্রতিপক্ষের লোকজন স্বামী ও সন্তানকে কুপিয়েছিলেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামী মারা গেছেন। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে রাজকী বেগম বলেন, ‘আমার সামনেই ওরা (প্রতিপক্ষ) স্বামীর মাথায় কোপ দেয়, হাত কেটে ফেলে। আমি কইছি, আর মারিস না, আমার কথা শুনল না। পাশেই আমার সন্তানরেও ওরা কোপাইয়ে ফেলাই থুইছে। ওই সময় আমার কেয়ামত হয়ে যাচ্ছে। আমি স্বামীর কাছে আসব, নাকি সন্তানের কাছে যাব। আমার ছেলের এক পায়ে তিনটে কোপ দেছে। আমি এসবের বিচার চাই।’

নিহত হাসিম মোল্যার বোন নাজনীন আক্তার বলেন, ‘প্রতিপক্ষ আমার এক ভাইয়ের হাত কেটে দেছে, ভাতিজাকে কুপিয়েছে। আমার আরেক ভাইকে খুন করিছে যারা, তাদের ফাঁসি চাই।’

এদিকে হাসিম মোল্যার মৃত্যুর পর প্রতিপক্ষ ঠান্ডু মোল্যা পক্ষের লোকজন এলাকায় না থাকায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।

গতকাল রাত ১০টার দিকে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক। নিহত হাসিমের মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবার এখনো কোনো মামলা করেনি। তবে পুলিশকে মারধর এবং অস্ত্র, গুলিসহ দুজনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ