দিনাজপুরে ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত পরিবারসহ পালিয়ে গেছেন। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতের বিচার দাবি করেছেন পরিবার ও স্থানীয়রা। রোববার দুপুরে ঘটনার পর বিরল ও কোতয়ালী উভয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন।

জানা যায়, রোববার দুপুরের দিকে দিনাজপুরের সদর উপজেলার মাঝাডাঙ্গা নামক এলাকার ৩ শিশুকন্যা বাড়ীর পার্শ্ববর্তী ক্ষেতের মাঝখানে যায়। এ সময় একই এলাকার এক ব্যক্তি ১১ বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকে পার্শ্ববর্তী নদীর স্লুইচগেটের নিচে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই শিশুকন্যার সঙ্গে যাওয়া দুই খেলার সাথী চিৎকার শুরু করলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকাবাসীর জটলা সৃষ্টি হয়। পরে সেটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য ভিকটিমের পরিবারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু এরইমধ্যে কোতয়ালী থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। এ সময় ওই অভিযুক্তের তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করেন স্থানীয়রা।
 
শিশুটির বাবা জানান, কৃষিকাজ থেকে এসে তার মেয়ের শরীরে হাত দেওয়ার কথা শুনে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারতে যান। সম্পর্কে খালু শ্বশুর হওয়ায় স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমাকে বলে। তবে এখন আমি চাই, আইন যেভাবে বলে সেভাবেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।
 
শিশুটির মা জানান, আমার মেয়ের সঙ্গে যাওয়া দুই জন শিশু আমাকে জানিয়েছে যে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে দাদা হওয়ায় ব্রিজের পাড়ে যেতে বলে। মেয়েটা যাওয়ার পর তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়। ওই সময় ওই দুই মেয়ে চিৎকার শুরু করে।
 
সদর উপজেলার ১নং চেহেলগাজী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) পাভেল ইমরান বলেন, এমন সালিশের কোনো বিধান নেই। আমি পুরো ঘটনা এখনও জানি না, দুই পক্ষের কাছেই শুনছি এবং স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করছি। 

ঘটনার পর ওই এলাকায় যান কোতয়ালী ও বিরল থানা পুলিশ। তবে যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেটি বিরল থানাধীন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট থানাতে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। 

কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে ধারণা করা হচ্ছে শ্লীলতাহানি। ঘটনাস্থল বিরল থানাধীন হওয়ায় তাদের বিরল থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। 

বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছবুর জানান, এই ঘটনায় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিরল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে ভিকটিমের পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র পর ব র হওয় য়

এছাড়াও পড়ুন:

গাইবান্ধার সাবেক সংসদ সদস্য সারওয়ার দিনাজপুরে গ্রেপ্তার

দিনাজপুরে আত্মগোপনে থাকা গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সারোয়ার কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে জেলা শহরের ঈদগাহ আবাসিক এলাকায় বোনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফাত হুসাইন বলেন, শাহ সারোয়ার কবিরের আত্মগোপনে থাকার তথ্য পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি ১ মার্চ থেকে দিনাজপুরে তার বোনের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় দুটি মামলা আছে। তাকে গাইবান্ধা জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করাত প্রক্রিয়াধীন। 

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, গত ৪ আগস্ট গাইবান্ধা জেলা বিএনপি ও যুবদলের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলার পলাতক আসামি সাবেক এমপি শাহ সরোয়ার কবির। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দিনাজপুর গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাইবান্ধায় আনার পর সদর থানার মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।

শাহ সারোয়ার কবির গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ