কুমিল্লার লাকসামে স্বামীকে আটকে রেখে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে এক গৃহবধূ দুই দফায় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই গৃহবধূর বাড়ি নোয়াখালীতে।

ওই দম্পতির বরাতে পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) তারা তাদের নানা শ্বশুরবাড়ি লাকসামে আসেন। পর দিন ভোরে তারা লাকসাম বাইপাস মোড় থেকে বাড়ি ফেরার জন্য সিএনজিতে ওঠেন। এসময় সিএনজিচালক মো.

মাসুদ তাদের কাছে জানতে চান তাঁর স্বামী-স্ত্রী কিনা। এবং এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। একপর্যায়ে তিনি তাদের লাকসামের গন্ডামারা এলাকায় নিয়ে যান। এসময় অভিযুক্তরা তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে। পরে পরিকল্পিতভাবে তাদের পাশের লালমাই উপজেলার মগবাড়ি এলাকায় নিয়ে স্বামীকে ফেলে রেখে তার স্ত্রীকে অপহরণ করে লাকসামে নিয়ে যায়।

পুলিশ আরও জানায়, পরে ভিকটিমকে লাকসামের পাইকপাড়া এলাকায় সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের শ্যালক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলীর একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্ত মো. মাসুদ ও মোহাম্মদ আলী তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ভিকটিমকে লাকসাম পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের তালুকদার ভিলায় আসামিদের পরিচিত বিলকিছ আক্তার কল্পনার ভাড়া বাসায় নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ওই গৃহবধূ উদ্ধার হন। এ ঘটনায় রোববার লাকসাম থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নারীর মা।

এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোববার দিনভর ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন, লাকসাম উপজেলার মনোহরপুর এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৫), পৌরসভার শ্রীপুর মধ্যপাড়ার মো. মমিনের ছেলে মো. মাসুদ (২৩), বাতাখালী এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মনির হোসেন হৃদয় (২৩), উত্তর বিনই এলাকার মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আল আমিন (২৩) ও মধ্য লাকসাম এলাকার মৃত মোস্তাফিজ মজুমদারের স্ত্রী বিলকিছ আক্তার কল্পনা (৪০)।

পুলিশ আরও জানায়, ওই গৃহবধূ বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন আছেন।

রাতে লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রোববার দিনভর অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার (১৭ মার্চ) তাদের আদালতে পাঠানো হবে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এল ক র গ হবধ

এছাড়াও পড়ুন:

বাজি ফাটানো নিয়ে দ্বিতীয় দিনের সংঘর্ষে এএসপিসহ অর্ধশত আহত

মাদারীপুরের রাজৈরে বাজি ফাটানো নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে টানা দুই দিন ধরে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) ও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কয়েক ঘণ্টা যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রোববার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টাব্যাপী রাজৈর উপজেলা সদরের বেপারীপাড়া মোড়ে বদরপাশা ও পশ্চিম রাজৈর গ্রামের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ১০/১২টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।

বিস্তারিত আসছে...

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিদ্ধিরগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কিশোরগ্যাংয়ের হামলা, আহত ৪
  • শরীয়তপুরে আবারো ককটেল বিস্ফোরণ, সংঘর্ষ
  • বাজি ফাটানো নিয়ে দ্বিতীয় দিনের সংঘর্ষে এএসপিসহ অর্ধশত আহত
  • তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার সাবেক প্রেমিক
  • ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের দাবিতে গাজীপুরে গার্মেন্টস-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা
  • কোলের শিশুকে জিম্মি করে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
  • হত্যার ভয় দেখিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ
  • গাজীপুরে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের ভাঙচুর
  • ৪ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে
  • তিন মাসে নির্যাতনের শিকার ৮৩৬ নারী ও কন্যাশিশু