১২ ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে মামলা ও ছাত্র ফেডারেশন সভাপতিকে গ্রেপ্তারচেষ্টার নিন্দা মির্জা ফখরুলের
Published: 16th, March 2025 GMT
রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় ১১ মার্চ ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের ১২ নেতার বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা দায়ের এবং ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খানকে বাসা থেকে গ্রেপ্তারের চেষ্টার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার রাতে এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানান মির্জা ফখরুল। তাঁর পক্ষ থেকে বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নারী নিপীড়ন, হয়রানি ও ধর্ষণের ঘটনা সারা দেশে ঘটে চলেছে। এটা উদ্বেগজনক। এই ধর্ষণ, নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালিয়ে, পরে ১২ ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে মামলা এবং গভীর রাতে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডকে তাঁর নিজের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে যাঁরা সচেতনতা তৈরি করছেন, তাঁদের সহযোগিতা না করে হয়রানি করা অন্যায়।’ সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ভূমিকা পালন করবে এবং হয়রানি থেকে বিরত থাকবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইজিবাইক সাইড দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০, টেটাবিদ্ধ ৩
হবিগঞ্জে ইজিবাইক সাইড দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে টেটাবিদ্ধ ৩ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতদের সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার টঙ্গিরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার টঙ্গিরঘাট গ্রামের আফজল আলীর সঙ্গে রামনগর গ্রামের আইয়ুব আলীর ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক (টমটম) গাড়ির সাইড দেওয়া নিয়ে শনিবার ঝগড়া হয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা সালিশে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন।
রবিবার রাতে সালিশের আগেই দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে টেটাবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত বাকিরা হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। আহতরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।”
ঢাকা/মামুন/টিপু